Bangla News Dunia , Rajib : বিসিসিআইয়ের (Board of Control for Cricket in India) বর্তমান সচিব জয় শাহ ১ ডিসেম্বর ২০২৪-এ আইসিসির চেয়ারম্যান পদে আসিন হবেন। বর্তমানে গ্রেগ বার্কলে এই পদে রয়েছেন। ৩০ নভেম্বর ২০২৪-এ তাঁর মেয়াদ পূর্ণ হবে, এরপর ওই আসনে নিজের দায়িত্ব পালন করতে আসছেন জয় শাহ। উল্লেখ্য, BCCI-র বর্তমান সচিব জয় শাহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই পদে আসিন হতে চলেছেন। তবে এখন সবার মনে প্রশ্ন একটাই যে, এবার বিসিসিআইয়ের সচিব কে হতে চলেছেন?
BCCI-র সচিব হওয়ার দৌড়ে স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
বর্তমানে কয়েকজনার নাম চর্চায় থাকলেও একজনার নাম নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। তিনি আবার আমাদের খুবই পরিচিত। আসলে কথা হচ্ছে সৌরভ গাঙ্গুলির দাদা তথা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে। শোনা যাচ্ছে যে, এবার নাকি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে বিসিসিআইয়ের সচিব পদে দেখা যেতে পারে।
এর আগে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত BCCI-র ৩৫ তম প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলান সৌরভ। বাংলার দাদা তথা মহারাজ দ্বিতীয় ভারতীয় অধিনায়ক যিনি BCCI-র প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলেছেন। এর আগে ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কারও বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন। সৌরভ গাঙ্গুলির পর BCCI-র বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজার বিনি।
সম্মান পাননি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
অনেকেরই দাবি, ক্রিকেট থেকে যতটা সম্মান স্নেহাশিসের পাওয়ার কথা ছিল, ততটা তিনি পাননি। বাংলার হয়ে রনজি খেলার সময় পা ভাঙা অবস্থায় ঐতিহাসিক ইনিংস খেলার কৃতিত্ব তাঁর নামে রয়েছে। এরপর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর দাদা স্নেহাশিসের জায়গায় রঞ্জিতে অভিষেক করেন। তারপর থেকেই দুজনার পথ আলাদা হয়ে যায়। সৌরভ সুযোগ পেয়ে যান জাতীয় দলে, ওদিকে স্নেহাশিস রয়ে যান ঘরোয়া ক্রিকেটেই।
কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে যে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে স্নেহাশিস তাঁর হারানো সম্মান ফিরে পেতে পারেন। জাতীয় দলে কোনদিনও সুযোগ না হলেও, এবার BCCI-র প্রেসিডেন্ট পদে তাঁর বসার প্রবণতা প্রবল। এই আশায় বুক বাঁধছে বাংলার ক্রিকেট মহলও।