Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সফর শেষ করতে নারাজ জ়িনাত। ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ার পর বাংলার আরও একটি জেলায় সে ঢুকে পড়ল। শনিবার সকালে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী তার অবস্থান বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থানার বারুনি গোঁসাইডি এলাকায়। কোনও টোপের তোয়াক্কা না করে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাঘিনি। আর জ়িনাতের এই ঘুরে বেড়ানো বন দপ্তরের কর্তাদের রাতের ঘুম উড়িয়েছে।
ওডিশার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে ঝাড়খণ্ড হয়ে ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে ঢুকেছিল জ়িনাত। এরপর সে ঠাঁই নিয়েছিল পুুরুলিয়াতে। সপ্তাহান্তে ফের ঠিকানা বদল করল সে। মহিষ, গোরু, ছাগলের একাধিক টোপ দিয়েছিলেন বন দপ্তরের কর্মীরা। এখনও পর্যন্ত কোনও টোপেই ফাঁদে ফেলা যায়নি বাঘিনিকে। তবে জ়িনাতকে ঘরে ফেরাতে মরিয়া বনকর্মীরা। তাতে অবশ্য কোনও হেলদোল নেই জ়িনাতের। আপন মনে হেঁটেই চলেছে সে।
এ দিকে, জ়িনাতের জন্য শনিবার পুরুলিয়ার মানবাজার ১ নম্বর ব্লকের ধানাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নৈনানি গ্রামের কাছে সমস্ত স্কুল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে।
স্থানীয় বিডিও দেবাশিস ধর একটি অডিয়ো মেসেজ করে এলাকার মানুষকে সাবধান করেন। তিনি জানান, পুরুলিয়ার ধানাড়া ও বিসরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় স্কুল ও অঙ্গনওয়াড়ি এ দিন বন্ধ রাখা হবে। এলাকার মানুষ যাতে জঙ্গলের দিকে না যান বা কোনও গৃহপালিত পশু সেখানে না পাঠান, সেই অনুরোধও করেন তিনি। ইতিমধ্যেই বন দপ্তরের একটি দল জ়িনাতের খোঁজে বাঁকুড়ায় রওনা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, পুরুলিয়ার জঙ্গলে ৫ দিন ছিল বাঘিনি জ়িনাত। শুক্রবার ঠিকানা বদল করে সে। মানবাজার সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছয় বাঘিনি। এ বার পুরুলিয়া থেকেও এগিয়ে গেল জ়িনাত। তার গলায় রয়েছে রেডিয়ো কলার। যা থেকে ‘স্যাটেলাইট সিগন্যাল’ পাওয়া যায়। ক্রমাগত জ়িনাতের অবস্থানের উপর নজর রাখা হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই, আশ্বস্ত করছে বন দপ্তর।
আরো পড়ুন:– প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর কোন কাজকে সেরা মনে করতেন মনমোহন? কী নিয়ে ছিল আক্ষেপ?