Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- টস করে তরুণীকে খুন। খুনের পরে নিথর দেহের সঙ্গে যৌন সঙ্গম। আদালতে অকপট স্বীকারোক্তি অভিযুক্তের। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা পোল্যান্ডের।
সূত্রের খবর, বাসে আলাপ হওয়া ১৮ বছরের তরুণী উকটোরিয়া কোজ়িয়েলস্কাকে খুনের অভিযোগ ওঠে ২০ বছরের পোলিশ নাগরিক মাতেউজ় হেপার বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের অগস্টের এই খুনের ঘটনায় মামলা চলছিল অভিযুক্ত তরুণের বিরুদ্ধে। মামলার শুনানিতে সম্প্রতি পোল্যান্ডের আদালতে নিজের দোষ কবুল করে অভিযুক্ত মাতেউজ়।
ঘটনার দিন উইকটোরিয়া কোজ়িয়েলস্কা কাটোওয়াইস এলাকায় পার্টি সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। বাসে তাঁর আলাপ হয় মাতেউজ় হেপার সঙ্গে। মাতেউজ় নিজের দোকানের দৈনন্দিন কাজ সেরে ওই বাসে উঠেছিল। বাসে জমে ওঠে বন্ধুত্ব। এর পর তরুণীকে নিজের ফ্ল্যাটে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায় সে। তার ফ্ল্যাটে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন উইকটোরিয়া। অভিযুক্ত আদালতে জানায়, তরুণীকে খুন করবে না ধর্ষণ, সেই সিদ্ধান্ত সে নেয় টস করে।
আদালতে মাতেউজ় হেপা বলে, ‘আমি কয়েন টস করি। হেড পড়ে। তাই ওকে খুন করে ফেলি। টেল পড়লে হয়তো ও বেঁচে থাকত।’ উইকটোরিয়া কোজ়িয়েলস্কার হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়। তবে এখানেই থেমে থাকেনি ওই পোলিশ নাগরিক। মৃতদেহের উপর নিজের যৌন লালসা চরিতার্থ করে সে।
আরও পড়ুন:– ইন্ডিয়ান নেভিতে প্রচুর কর্মী নিয়োগ চলছে! আবেদন পদ্ধতি সহ বিস্তারিত দেখেনিন
চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তিতে মাতেউজ় হেপা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই কাউকে খুন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তেমন কাউকে পাচ্ছিল না। শহর ঘুরেও কাউকে খুন করার মতো পায়নি। এর পর এক রাতে উকটোরিয়া কোজ়িয়েলস্কার সঙ্গে তার বাসে আলাপ হয়। ভরসা অর্জন করে তাঁকে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে যায় সে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অভিযুক্ত তরুণ আদালতে আরও বলে, ‘আমরা ফ্ল্যাটে বেশ কিছুক্ষণ বসে গল্প করেছিলাম। তার পর ও ঘুমিয়ে পড়েছিল। ও ঘুম থেকে ডেকে তোলার চেষ্টা করেছিলাম। ও ওঠেনি। তার পর টস করে সিদ্ধান্ত নিই খুন করব।’
শ্বাসরোধ করেই খুনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মাতেউজ় কারণ এতে রক্তারক্তি হতো না। আদালতে তার স্বীকারোক্তি, প্ল্যাস্টিকে মুড়ে দেহটি পুড়িয়ে ফেলার পরিকল্পনাও করেছিল কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি।
গ্রেপ্তারের সময়ে ২০২৩ সালে পুলিশকেও মাতেউজ় জানিয়েছিল, খুন করার প্রয়োজন অনুভব করায় সে মেয়েটিকে মেরে ফেলে। খুনটি করে তার ভালো অনুভূতি হয়েছিল বলেও দাবি তরুণের। আর তাই দেহ পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত বদল করে নিজেই পুলিশে খবর দেয়।
দোষী সাব্যস্ত হলে পোল্যান্ডের এই তরুণের মৃত্যুদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা। খুনের মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুন:– দেশে ন্যায়তন্ত্র থাকলে সবার আগে মোদি-যোগীকে শাস্তি দেওয়া হত, কেন এই কথা বললেন পুরীর শঙ্করাচার্য ?
আরও পড়ুন:– ‘ব্যাঙ্কের অ্যাপে’ এ বার সাইবার হানা, আসল-নকল না বুঝলে বড় বিপদ শিয়রে…