ATM-এর ফেক শাটারিংয়ের প্রতারণা রুখতে নয়া পদক্ষেপ, জানুন বিশদে

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- এটিএম-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের ঠকানোর চেষ্টা করে প্রতারকরা। যার মধ্যে এটিএম ফেক শাটার ফ্রড অন্যতম। এ ক্ষেত্রে অপরাধীরা এটিএম-এর ডিসপেন্সিং স্লট অর্থাৎ যেখান দিয়ে টাকা বের হয়, সেখানে এক ধরনের নকল কভার লাগিয়ে রাখে। ধরা যাক, কোনও ব্যক্তি টাকা তুললেন এটিএম থেকে। ওই নকল কভার লাগানো থাকলে তিনি টাকা বের হওয়া দেখতে পাবেন না। কিন্তু টাকা নিয়মমতো বেরিয়ে আসবে এটিএম থেকে। এই পরিস্থিতিতে গ্রাহক ভাবেন তার লেনদেন সফল হয়নি। তখন তিনি এটিএম থেকে বেরিয়ে এলেই সেই টাকা নিয়ে দেয় প্রতারকরা।

এই ধরনের প্রতারণা রুখতে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসেই একটি নির্দেশিকা দিয়েছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। সেই নির্দেশিকায় আরবিআই জানিয়েছিল, এটিএম-এ ক্যাশ রিট্রাকশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। অর্থাৎ কোনও ব্যক্তি এটিএম-এ টাকা তুললেন, কিন্তু তিনি সেই টাকা এটিএম থেকে সংগ্রহ করতে ভুলে গেলেন। এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হলে, নির্দিষ্ট সময়ের পরে টাকা ফেরত চলে যাবে এটিএম মেশিনে। গ্রাহকের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সেও বিষয়টি নথিভুক্ত হতে হবে। ফেক শাটার ফ্রড রুখতেই এই পদক্ষেপ করতে বলেছিল আরবিআই।

বর্তমানে এই ধরনের প্রতারণা বাড়তে শুরু করায় ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া একটি চিঠি দিয়েছে বিভিন্ন ফিনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান, ব্যাঙ্ক এবং এটিএম প্রস্তুতকারকদের। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, ফেক শাটারিংয়ের সমস্যা মোকাবিলার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এর পর থেকেই বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বেশ কিছু এটিএম-এ এই পরিষেবা শুরু করেছে। যে সমস্ত এটিএম-এ প্রতারণার সম্ভাবনা বেশি, সেখানেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তথ্য জানাচ্ছে, দেশে এটিএম-এর সংখ্যা দিনে দিনে কমছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে দেশে এটিএম-এর সংখ্যা ২ লক্ষ ১৫ হাজার। গত বছর এই সময় তা ছিল ২ লক্ষ ১৯ হাজার। ডিজিটাল লেনদেন জনপ্রিয় হওয়ার কারণেই এটিএম-এর সংখ্যা হ্রাস। ডিজিটাল পেমেন্ট বাড়লেও দেশের মোট লেনদেনের সিংহভাগই হয় নগদে।

আরো পড়ুন:- মাশরুমের উপকারিতা জুরি মেলা ভার ! কি জানালেন পুষ্টিবিদ?

মন্তব্য করুন