ট্রাম্পের ফতোয়ায় ভারতের কী?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- মেক্সিকো-ক্যানাডা এবং চিনের উপর বর্ধিত হারে শুল্ক কার্যকর করার যে সিদ্ধান্ত নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহের শেষে নিয়েছিলেন, তার জেরে বিশ্ববাণিজ্যে কতটা বিপর্যয় আসতে পারে, সে বিষয়ে সন্দিহান গোটা দুনিয়াই। সোমবার সকালে ভারত এবং এশিয়ার সব বড় বাজারে পারদ ছিল নিম্নমুখী। একই ছবি দেখা গিয়েছে ইউরোপ জুড়ে।

যে উদ্বেগের জেরে তলিয়ে গেল ওয়াল স্ট্রিটও। ডাও জোন্স-এসঅ্যান্ডপি ৫০০-ন্যাসড্যাক, পতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি কোনও সেক্টরই। বাজার খোলার পরেই সাম্প্রতিক কালে বেশ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিম্নতম স্তরে সূচক পৌঁছে যাওয়ায় বিটকয়েন থেকে বিলিয়ন ডলারের বৃহৎ টেক সংস্থা, বেশ কয়েক লক্ষ ডলারের মুলধন গায়েব হয়ে গিয়েছে সবারই।

মার্কিন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, বর্ধিত হারে শুল্ক কার্যকর করায়, মুদিখানা পণ্য থেকে ইলেকট্রনিক্স—ট্রাম্পের ফতোয়ায় অদূর ভবিষ্যতে ঘরোয়া স্তরে সব জিনিসেরই দাম বাড়তে চলেছে সে দেশে। যা খুচরো মূল্যবৃদ্ধিকে ফের ঊর্ধ্বমুখী করায়, সুদের হারে কাটছাঁট করার বাহুল্য দেখাতে পারবে না ফেডারেল রিজ়ার্ভ। যদিও রাতে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর কথা হওয়ার পর ঠিক হয়েছে, আপাতত ১ মাসের জন্য মেক্সিকোর উপর ২৫% হারে শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখতে রাজি হয়েছেন ট্রাম্প।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ট্রাম্পের শুল্ক-ফতোয়ার জেরে ভারতীয় বাণিজ্য এবং অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়তে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিন বা মেক্সিকোর সংস্থাগুলি যে ভাবে টেক এবং ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প ক্ষেত্রে থাকা ইউএস সংস্থাগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সে দেশে রপ্তানি করে, ভারত সেখানে গাড়ি-কেমিক্যাল-টেক্সটাইল-ফার্মা-জেমস এর মতো ক্ষেত্রে অধিকাংশ রপ্তানি করে, যেখানে তাদের সরাসরি টক্কর নেই মার্কিন সংস্থাগুলির সঙ্গে। যার জেরে কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা।

পাশাপাশি হোয়াইট হাউস’কে ‘তুষ্ট’ করতে চলতি কেন্দ্রীয় বাজেটে হার্লে ডেভিডসনের মতো হাই-এন্ড মোটরসাইকেল এর উপর আমদানি শুল্ক ৫০% থেকে কমিয়ে ৩০% করা হয়েছে। তবে আমদানি শুল্কের পাশাপাশি সারচার্জ এবং অন্য ডিউটি চাপিয়ে রাখায়, সার্বিক ভাবে শুল্কের অঙ্ক কিন্তু ‘বেশির’ দিকেই রয়েছে। যা নয়াদিল্লির বড়সড় মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

তবে অনেকের দাবি, যে সব মার্কিন আমদানিকারকরা চিন-মেক্সিকোর বিকল্প খুঁজতে যাবেন, তাদের জন্য চিন+১ স্ট্র্যাটেজি’তে বড়সড় সুবিধা পকেটে পুরতে পারে ভারত। যদিও বাড়তে থাকা ডলারের বিনিময়মূল্য সেই লাভের গুড় খেয়ে চলে যেতে পারে। এ ভাবে ডলার ইনডেক্স বাড়তে থাকলে বিদেশি লগ্নিকারীরা আরও বেশি করে তাঁদের বিনিয়োগ ভারত থেকে সরিয়ে নিয়ে যাবেন, যা টেনে নামাবে ভারতীয় শেয়ারবাজারকে।

(বাংলা নিউস দুনিয়া কোথাও বিনিয়োগের জন্য পরামর্শ দেয় না। শেয়ার বাজার বা যে কোনও ক্ষেত্রে লগ্নি ও বিনিয়োগ ঝুঁকিসাপেক্ষ। তার আগে ঠিকমতো পড়াশোনা এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ বাঞ্ছনীয়। এই খবরটি শিক্ষা সংক্রান্ত এবং সচেতন করার জন্য প্রকাশিত।)

আরও পড়ুন:– আরও বড় বিপর্যয়ের অপেক্ষায় কলকাতা? জানতে বিস্তারিত পড়ুন

আরও পড়ুন:– কোনও অনুশোচনা নেই, চুম্বন বিতর্কে আর কী বললেন উদিত নারায়ণ?

 

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন