ঢাকার রাস্তায় স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ, কিন্তু কেন ?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ফের বিক্ষোভে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারে প্রভাবশালী স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কুশপুতুল পুড়িয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই একদল পড়ুয়া। জাহাঙ্গীরের পদত্যাগের দাবিতেই চলছে বিক্ষোভ।

কিন্তু কেন?

পড়ুয়াদের ওপর পুলিশি হামলার পাল্টা কোনও পদক্ষেপ না করায় এবং গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের গণহত্যায় অংশ নেওয়া পুলিশের বিচার না করার অভিযোগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছেন তারা। অভিযোগ, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ জাহাঙ্গীর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অ্যান্টি ফ্যাসিস্ত কোয়ালিশন’ সংগঠনের আহ্বায়ক তাসনিম বিন মাহফুজ মিডিয়ােকে বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে গদি ছাড়তেই হবে। কেননা তিনি এই বয়সে একের পর পর ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।’

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবারই ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরাম সভাপতি সুব্রত চৌধুরী প্রশ্ন তুলেছেন, যারা গত মঙ্গলবার লাঠির মাথায় জাতীয় পতাকা বেধে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করল, তাদের বিরুদ্ধে কেন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হলো না? ইউনূস সরকার কী আদিবাসীদের স্বীকৃতি মুছে দিতে চাইছে? আদিবাসী পড়ুয়াদের উপর হামলায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরিক-সহ শ’পাঁচেক শিক্ষাবিদ-সাংবাদিক-চিকিৎসক বিবৃতি দিয়েছেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও পাহাড়ি তিন জেলায় গত দু’দিন ধরে প্রতিবাদ সভা-সমাবেশও করেছে স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন:– ফের ভারতে আসছেন মেসি, কবে-কোথায় দেখা যাবে বাঁ-পায়ের জাদু?

ঢাকার শুক্রবারের সমাবেশে আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘ডক্টর ইউনূসের সরকারকে হুঁশিয়ার করতে চাই, বেশি বাড়াবাড়ি করলে আপনাকেও অতীতের সরকারের মতো বিদায় নিতে হবে। সংবিধানে হাত দেবেন না। আগুন নিয়ে খেলবেন না। রাষ্ট্রের চার মূলনীতি বাতিলের চেষ্টা করবেন না।’ আদিবাসীদের উপর হামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বানও জানান তিনি। বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেওয়া আদিবাসী শিক্ষার্থীরা জানান, উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে নয়, সাংবিধানিক ভাবে তাঁদের অধিবাসী হিসেবেই স্বীকৃতি দিতে হবে।

গত মঙ্গলবার পাঠ্যবইয়ের প্রচ্ছদ থেকে আদিবাসী শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সামনে বিক্ষোভ দেখায় ‘পাহাড়ি ছাত্র-জনতা’। এই সময়ে ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ সদস্যরা তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাহাড়ি আন্দোলনকারীদের। মারাত্মক ভাবে জখম হন ৩০ জন। একদিন পরে বুধবার পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই হামলার তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তার পরও থামছে না বিতর্ক।

আরও পড়ুন:– পশ্চিমবঙ্গে চালু হচ্ছে কার্বন ক্রেডিট কার্ড। কি কি সুবিধা মিলবে? জেনে নেওয়া যাক

আরও পড়ুন:– ৩০ লাখ পথ কুকুর হত্যার নিদান মরক্কোর, কেন এমন সিদ্ধান্ত ?

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন