তলিয়ে যাবে মন্দারমণি, ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে সমুদ্র! নবান্নে জানালেন হোটেল মালিকরা

By Bangla News Dunia Rajib

Published on:

mandarmani-1-1

Bangla News Dunia , Rajib : বাঙালির অন্যতম প্ৰিয় ভ্রমণস্থল হল মন্দারমণি (Mandarmani)। সারাবছরই পর্যটকদের ভিড়ে এই জায়গাটি থিকথিক করে। বিশেষ করে যারা সমুদ্র পছন্দ করেন তাঁদের কাছে এই মন্দারমণি কিংবা দীঘা স্বর্গের থেকে কম কিছু না। যদিও বিগত বেশ কিছু সময় ধরে এই মন্দারমণি নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এমনিতে প্রশাসনের তরফে মন্দারমণির বিভিন্ন হোটেল, রিসর্ট ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে সেই নির্দেশিকায় আপাতত ব্রেক লেগেছে। তারপরও শান্তিতে ঘুমোতে পারছেন না মন্দারমণিতে থাকা হোটেল রিসোর্ট-এর মালিকরা। কারণ সকলের দাবি সমুদ্র, নাকি অনেকটা এগিয়ে আসছে। যে কারণে মনে হচ্ছে হোটেল রিসোর্ট গুলি সমুদ্রের অনেক কাছাকাছি জায়গায় রয়েছে। সত্যিই কি তাই? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।

মন্দারমণি নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য

গত ১১ নভেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক মন্দারমণির উপকূলবর্তী অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত ১৪০টি হোটেল ও রিসর্ট ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। যদিও এর ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিনহা ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং জেলাশাসককে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এরপরেও বিতর্ক যেন পিছু ছাড়তে নারাজ মন্দারমণির। মন্দারমণির পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার নবান্নে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ‘হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি মীর মোমরেজ আলি সহ সংগঠনের ৬ সদস্য। কোথায় বেনিয়মের অভিযোগ উঠছে, বর্তমানে হোটেলগুলির কী পরিস্থিতি, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

মন্দারমণির বর্তমান পরিস্থিতি থেকে শুরু করে কীভাবে সমুদ্রের এত কাছে হোটেল তৈরি হয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আর এই বৈঠকে হোটেল মালিকরা যা জানান তা শুনে উদ্বিগ্ন প্রশাসনিক মহল।

এগিয়ে আসছে সমুদ্র

এই বৈঠকে মীর মোমরেজ জানান, বৈঠকে বলা হয়েছে যে আমফান, ইয়াস, আয়লার মতো ঘূর্ণিঝড়ের পরে সমুদ্র এগিয়ে এসেছে। তাই বর্তমানে হোটেলগুলি সমুদ্রের কাছে বলে মনে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের (এনজিটি) ২০২২ সালের একটি নির্দেশিকা থেকে এই ধ্বংসের আদেশ দেওয়া হয়েছিল, যেখানে দিঘা-শঙ্করপুর অঞ্চলে উপকূলীয় বিধিবিধান লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এনজিটি নির্ধারণ করেছিল যে মন্দারমণির অবৈধ নির্মাণগুলি উপকূলীয় ও সামুদ্রিক বাস্তুশাস্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক এবং তাদের অপসারণের আদেশ দিয়েছে। মন্দারমণির উপকূলীয় অঞ্চলটি উপকূলরেখা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে অঞ্চল হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যেখানে এই ১৪০ টি হোটেল এবং রিসর্ট নির্মিত হয়েছে। যাইহোক, আপাতত ৪ ডিসেম্বর অবধি কিছু ধ্বংস না করার নির্দেশিকা জারি রয়েছে আদালতের তরফে।

আরো পড়ুন :- রফতানিতে রেকর্ড গড়ল ভারত ! সফল মোদী সরকার

আরো পড়ুন:এবার মহাসমুদ্রে ডুব দিয়ে এলিয়েন খুঁজবে নাসা, কিভাবে? জানতে হলে পড়ুন

আরো পড়ুন :- NIT দুর্গাপুরে কর্মী নিয়োগ চলছে! সরাসরি ইন্টারভিউর মাধ্যমে, বেতন ২০,০০০/- টাকা

এই রকম খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন

আরো পড়ুন :- SBI থেকে LPG, OTP! ১ ডিসেম্বর থেকে বদলে যাচ্ছে ৪ নিয়ম

আরো পড়ুন :- রাহানে, আইয়ার বা রিঙ্কু সিং! নিজেকে KKR-র অধিনায়ক ঘোষণা করলেন ‘তারকা’

আরো পড়ুন :- বীরভূমের কোর কমিটির চেয়ারম্যান তিনিই, কালীঘাটের বৈঠকের পরেই ঘোষণা অনুব্রতর

Bangla News Dunia Rajib

মন্তব্য করুন