দর্জির বাড়িতে হঠাৎ হানা ইডির, কারণ কি? জানতে পড়ুন বিস্তারিত

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- নেতা, মন্ত্রীদের বাড়িতেই ইডির হানা দেখতে অভ্যস্ত আমজনতা। এ বার বাদ পড়লেন না এক দর্জিও। মঙ্গলবার সকালে ইডির আধিকারিকরা হানা দেন বর্ধমান পুর এলাকার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের লস্করদিঘিতে। সেখানে মইনুল হাসান আলি নামে ওই দর্জির বাড়িতে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে বিকেল পাঁটচা পর্যন্ত টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি কর্তারা। তবে যাওয়ার আগে ওই দর্জিকে এলাকা না ছাড়ার নির্দেশও দেন তাঁরা।

কিন্তু কেন হঠাৎ এক দর্জির বাড়িতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হানা? ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অতীতে প্রায় বছর দুয়েক কাতারের দোহায় একটি টেলারিং স্টোর–এ কাজ করতেন মইনুল। তাঁর মাধ্যমে জেলার দু’জন রাইস মিল ব্যবসায়ী মোটা টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বাইরে পাঠাতেন বলে অভিযোগ। মইনুলের সঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক রাইস মিল মালিকের যোগাযোগ ছিল বলে দাবি।

আরো পড়ুন:- খাচ্ছি খাবার, গিলছি ‘বিষ’! শহরের খাবারের পুর–রিপোর্ট, কি জানা গেলো? 

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে মইনুল বলেন, ‘রাইস মিলের কারও সঙ্গে আমি যোগাযোগ রাখতাম না। এলাকায় কারও সঙ্গে টাকা পয়সার লেনদেনও ছিল না। আগে কাতারে দর্জির কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ফিরে এসেছি।’ মইনুলের আরও দাবি, ‘হাওয়ালা কী সেটাই জানি না আমি।’

যদিও ইডির দাবি, অতীতে মানি ট্রান্সফারের ব্যবসা করতেন মইনুল। এই টাকা পাঠানোর সুবাদেই তিনি দোহায় গিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে মইনুল বলেন, ‘বহু আগে আমি টাকা পাঠানোর ব্যবসা করতাম। এখন আর করি না। আমার বাড়িতে একটি কম্পিউটার আছে। তাতে এখন আমার ছেলে গেমস খেলে। সেটা পরীক্ষা করেছে ইডি।’

আরো পড়ুন:- ল্যাব থেকে নিখোঁজ ৩০০ প্রাণঘাতী ভাইরাস, ফের মহামারির শঙ্কা?

তা হলে তাঁর বাড়িতে এল কেন ইডি? মইনুলের বক্তব্য, ‘ওঁরা আমাকে জানান, ২১ নভেম্বর আমার অ্যাকাউন্টে ১০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই টাকা আমি কোথা থেকে পেয়েছি তার হিসেব চাইছিলেন। আমি ওঁদের জানিয়েছি, এক বছর আগে বিদেশে যাওয়ার সুবাদে দক্ষিণেশ্বরের সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল। তিনি আমাকে ফোন করে বলেন, ওঁর অ্যাকাউন্টে ট্রানজ়াকশন লিমিট ক্রশ করে যাওয়ায় টাকা পাঠাতে পারছেন না। আমার অ্যাকাউন্টে ১০ লাখ টাকা পাঠাচ্ছেন। ওঁর লোক এলে আমি যেন টাকাটা তুলে দিই।’ সেই মতো শেখ সইফুল নামে এক ব্যক্তির হাতে টাকা তুলে দেন বলে দাবি করেন মইনুল। তিনি বলেন, ‘এর আগে সইফুলকে কোনও দিন আমি দেখিনি।’

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণেশ্বরের বাসিন্দা সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় লেনদেনের বিষয় অস্বীকার করেছেন। সে প্রসঙ্গে মইনুল বলেন, ‘আমার সামনেই ইডি কর্তারা সুকান্তকে ফোন করেছিলেন সুকান্ত অস্বীকার করে বললেন, আমাকে কোনও টাকা দেননি। ইডি আধিকারিকরা আমাকে জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে হয় ১০ লাখ টাকা ফেরত দিতে হবে, না হলে যে টাকা নিয়ে গিয়েছে তাকে ধরিয়ে দিতে হবে। টাকা কী ভাবে এল তা জানাতে হবে। না হলে আমাকে গ্রেপ্তার করা হবে।’

আরো পড়ুন:- মাশরুমের উপকারিতা জুরি মেলা ভার ! কি জানালেন পুষ্টিবিদ?

আরো পড়ুন:- ১২ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করছে রাজ্য সরকার! রইলো বিস্তারিত

 

মন্তব্য করুন