দিনহাটায় মিলল ‘পাকিস্তান’ লেখা মর্টার শেল, বাংলাদেশও খুব দূরে নয়! ছড়াল চাঞ্চল্য

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় উদ্ধার হলো মর্টার। দিনহাটার ঝিকরি এলাকায় এই মর্টার উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় এক কৃষক জমিতে চাষের কাজ করছিলেন। তিনিই প্রথম মর্টারটি দেখতে পান। তবে জিনিসটি কী, তা ঠিক মতো বুঝতে পারেননি। ভাবেন, বড় আকারের বোমা হবে। ভয়ে চিৎকার শুরু করেন তিনি। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন এলাকার লোকজন। এসে দেখেন মাটির নীচে ভারী ধাতব কিছু একটা। খবর দেওয়া হয় থানায়। ঘটনাস্থলে আসেন বিন্নাগুড়ি আর্মি ক্যাম্পের জওয়ানরাও। স্পেশাল বম্ব স্কোয়াড নিয়ে আসেন তাঁরা। জানা যায় সেটি মর্টার।

আরো পড়ুন:- সুখবর! ১৯,৯০০ টাকা বেতন, মাধ্যমিক পাশে ভারতীয় পোস্ট অফিসে প্রচুর কর্মী নিয়োগ! শীঘ্রই এভাবে আবেদন করুন

দিনহাটার চৌধুরীহাট গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে ঝিকড়ি। সেখানেই বুধবার এই ঘটনা। খবর পেয়ে এসে এলাকা ঘিরে ফেলে বিএসএফ। এর পরই মর্টারটি মাটির তলা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জানা যায়, এটি যুদ্ধে ব্যবহৃত সেনাবাহিনীর মর্টার শেল। গায়ে আবার পাকিস্তান লেখা।

স্থানীয় কৃষক হিতেন মোদক জমিতে ধানের বীজতলার তৈরির কাজ করছিলেন। বীজতলা তৈরির জন্য মাটি খুঁড়ছিলেন। হঠাৎই কোদালের মাথায় শক্ত কিছু একটা ঠেকে। আরও কিছুটা খুঁড়তেই দেখেন বিশাল ওই মর্টার শেল।

দিনহাটার এসডিপিও ধীমান মিত্র জানিয়েছেন, জমিতে একটি মর্টার শেল উদ্ধারের পর এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছিল। বিন্নাগুড়ি থেকে আর্মি এসে সেটিকে নিষ্ক্রিয় করেছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় মর্টার শেল উদ্ধার এর আগেও হয়েছে। তবে বাংলাদেশে অশান্তির আবহে এই মর্টার উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।

চলতি বছরের জুলাই মাসে ত্রিপুরাতেও পুকুর খননের সময় ২৭টি মর্টার শেল উদ্ধার হয়েছিল। তখন মনে করা হয়েছিল, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী এই মর্টারগুলি মাটির নিচে পুঁতে রেখেছিল। কারণ ত্রিপুরা রাজ্যের পশ্চিম ত্রিপুরায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে রাঙুটিয়া, বামুটিয়া এলাকায় মুক্তিবাহিনীর প্রায়শই যাতায়াত চলত। দিনহাটায় উদ্ধার হওয়া শেলটিও একাত্তরের যুদ্ধের সময়ের বলেই অনেকের অনুমান।

আরো পড়ুন:- তৈরি হয়ে গিয়েছে ক্যান্সারের টিকা, বড় দাবি রাশিয়ার। কবে থেকে দেওয়া হবে, জানিয়ে দিলো

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন