Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- দিল্লিতে কি ফিকে হবে কেজরির জাদু? মোদি ম্যাজিকে ভর করে দিল্লি বিধানসভায় পদ্ম ফুটবে? উত্তর মিলবে ৮ ফেব্রুয়ারি। তবে তার আগে ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য ফল নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে আলোচনা। আর সবটাই চলছে বুথ ফেরত সমীক্ষার উপর নির্ভর করে। এখনও পর্যন্ত যে সাতটি বুথ ফেরত সমীক্ষা সামনে এসেছে তাতে ৫টিতেই বিজেপিকে এগিয়ে রাখা হয়েছে। ২টিতে বলা হয়েছে দিল্লি বিধানসভা ফের দখলে নিতে পারে আম আদমি পার্টি।
একাধিক সমীক্ষায় এগিয়ে বিজেপি:
চাণক্য স্ট্র্যাটেজিস-এর বুথ ফেরত সমীক্ষায় বলা হয়েছে বিজেপি পেতে পারে ৩৯-৪৪টি আসন। আপ-কে থামতে হতে পারে ২৫-২৮টি আসনেই। কংগ্রেসের দখলে যেতে পারে ২-৩টি আসন। পিপলস ইনসাইট-এর বুথ ফেরত সমীক্ষাতেও এগিয়ে রাখা হয়েছে পদ্মশিবিরকে। ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে ৪০–৪৪টি আসন বিজেপি দখলে রাখতে পারে। আপের দখলে যেতে পারে ২৫-২৯টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ০-২ আসন। পোল ডায়রির বুথফেরত সমীক্ষায় অনেকটা এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ৭০ আসনের বিধানসভায় ৪২-৫০টি আসনেই বিজেপি জয় পেতে পারে বলে সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে। ১৮-২৫টি আসন জিততে পারে আপ। এই সমীক্ষাতেও কংগ্রেসের ঝুলিতে ০-২টি আসন যেতে পারে বলে মনে করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সম্ভাব্য আসনপ্রাপ্তির নিরিখে বিজেপিকে সবচেয়ে এগিয়ে রেখেছে পিপলস পালস। ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে ৫১-৬০টি আসন পেতে পারে বিজেপি। আপ থেমে যেতে পারে ১০-১৯টি আসনে। পিপলস পালসের সমীক্ষায় কংগ্রেসকে একটি আসনও দেওয়া হয়নি।
আপ-এর জয়ের পূর্বাভাস:
২টি সমীক্ষায় এগিয়ে রাখা হয়েছে আম আদমি পার্টিকে। মাইন্ড ব্রিঙ্ক-এর সমীক্ষায় আপ-এর ঝুলিতে ৪৪–৪৯টি আসন যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। বিজেপি থেমে যেতে পারে ২১-২৫টি আসনে। কংগ্রেসকে দেওয়া হয়েছে ০-১টি আসন। উইপ্রিসাইড-এর বুথ ফেরত সমীক্ষাতেও অনেকটা এগিয়ে রয়েছে আপ। তাদের দখলে যেতে পারে ৪৬-৫২টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ১৮-২৩টি আসন এবং কংগ্রেস পেতে পারে ০-১টি আসন।
মার্টিজ়-এর বুথ ফেরত সমীক্ষা কিন্তু ইঙ্গিত দিচ্ছে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কড়া টক্কর হয়েছে আপ ও বিজেপির মধ্যে। ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে আপ পেতে পারে ৩২-৩৭টি আসন, বিজেপি পেতে পারে ৩৫-৪০টি আসন এবং কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ০-১টি আসন।
এ বার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফাটল দেখা গিয়েছিল ইন্ডিয়া জোটে। এই নির্বাচনে কংগ্রেস ও আপ শুধু যে আলাদা লড়েছে তাই নয়, গোটা প্রচারজুড়েই আপ ও কংগ্রেস নেতারা একে-অন্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগে গিয়েছেন। কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর বাসভবন মেরামতির খরচ নিয়ে ‘শিশমহল’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করে তোপ দেগেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই একই ইস্যুতে আপকে নিশানা করেছিল কংগ্রেসও। এমনকী বিজেপির সুরে সুর মিলিয়েই অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা বলে আক্রমণ করেছিলেন কংগ্রেস নেতারা। পাল্টা রাহুল গান্ধী-সহ বাকি কংগ্রেস নেতাকেও নিশানা করতে ছাড়েননি আপ নেতারা। অন্যদিকে যমুনার দূষণ থেকে শুরু করে নাগরিক পরিষেবা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আপ-বিজেপি একে-অন্যকে নিশানা করে গিয়েছে। এই নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটে থাকা সমাজবাদী পার্টি এবং তৃণমূল কংগ্রেস খোলাখুলি আপ-কে সমর্থন জানিয়েছিল। এই আবহে, এখনও পর্যন্ত বুথ ফেরত যা যা সমীক্ষা সামনে এসেছে তাতে এটা স্পষ্ট যে মূল লড়াই হয়েছে আপ ও বিজেপির মধ্যেই, কার্যত সাইনবোর্ডে পরিণত হতে পারে কংগ্রেস।