দুটি পা নেই, তবুও ব্যান্ডেলের ‘ত্রাস’ ছিল ছট্টু, হত্যাকাণ্ডের মামলায় কী সাজা দিল আদালত?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- দুর্ঘটনায় দুটি পা বাদ চলে গিয়েছিল। ভিক্ষাবৃত্তি করেই দিন চলত। অতি লোভ দুষ্কর্মের দিকে ঠেলে দেয়। ভিক্ষাবৃত্তির পাশাপাশি শুরু হয় চুরি, ছিনতাই। ব্যান্ডেলের কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের তালিকায় নাম উঠে যায় ছট্টু ওরফে মঙ্গল পান্ডের। দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের নাগালের বাইরে ছিল ছট্টু। বছর চারেক আগে এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আর শেষরক্ষা হয়নি। হাতেনাতে ধরা পড়ে সে। খুনের মামলায় ছট্টুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল চুঁচুড়া আদালত।

২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর। ঘটনাস্থল ব্যান্ডেল স্টেশনের ওভারব্রিজের কাছে। মদের আসরে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা বাধে। রাগের মাথায় ‘এক গ্লাসের সঙ্গী’ রিকশা চালক রামদাস মাঝির (৩০) পেটে ছুরি ঢুকিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। খুনি কে? শুরু হয় পুলিশের খোঁজ।

রামদাস মাঝির হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা এলাকায়। ওই আসরে আর কারা ছিল? তদন্তে উঠে আসে ছট্টুর নামও। তবে ছট্টু কি খুন করতে পারে? ভাবিয়ে তুলেছিল তদন্তকারীদের। তদন্তকারী অফিসার শের আলি মণ্ডলের নেতৃত্বাধীন টিম তথ্য প্রমাণ জোগাড়ের কাজ শুরু করে। উদ্ধার হয় খুনে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরিটিও। আঙুলের ছাপ-সহ একাধিক প্রমাণ ইঙ্গিত করে ছট্টুই এই খুনের ঘটনার একমাত্র অপরাধী।

২০২২ সালে ৬ জানুয়ারি ৩০২ ধারায় চার্জ ফ্রেম হয়। চুঁচুড়া আদালতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সঞ্জয় শর্মার এজলাসে শুরু হয় মামলার বিচার পর্ব। মোট ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। অভিযুক্ত বিচারাধীন বন্দি থাকা অবস্থায় চলে মামলার বিচার। গত বুধবার আদালত দোষী সাব্যস্ত করে অভিযুক্তকে। সাজা ঘোষণা হলো শুক্রবার।

সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত। দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যার দুটো পা নেই, সেও এতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে ব্যান্ডেলের এই ঘটনা তার প্রমাণ।’

আরও পড়ুন:– কুম্ভের মতো দুর্ঘটনা বাংলায় হলে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলত বিজেপি, কটাক্ষ অভিষেকের

আরও পড়ুন:– কলকাতা সিটি সিভিল কোর্টে প্রচুর কর্মী নিয়োগ চলছে! কিভাবে আবেদন করবেন দেখুন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন