Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- লজ্জাজনক ! ত্রিপুরা জেলার চুরাইবাড়ি থানার অন্তর্গত একটি হাইস্কুলে বেশকিছু জন ছাত্রছাত্রী দেরি করে স্কুলে ঢোকে ৷ সময় উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় তাদের ক্লাসরুমে প্রবেশ করতে দেয়নি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ৷ সোমবার সকাল 11.15 নাগাদ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যখন তাঁর অফিসরুমে কিছু কাজ করছিলেন তখন ওই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একজনের মা তাঁর একটি ভিডিয়ো করা শুরু করেন ৷ এরপরই তিনি বাধা দিতে গেলে ওই মহিলা জুতো খুলে শিক্ষককে পেটাতে থাকেন ৷
জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার ওই স্কুলে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর মা তিনি ৷ সোমবার তাদের একটি দল দেরি করে স্কুলে আসে ৷ সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে ছিল ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী, অষ্টম শ্রেণির দুই ছাত্র ৷ তারা স্কুলে প্রবেশ করতে না-পারায় বাড়ি ফিরে যায় ৷ তারপরই সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর মা আসের স্কুলে ৷ তারপরই এরকম লজ্জাজনক কাণ্ড ঘটান তিনি ৷ স্কুল চত্বরে হইহই পড়ে যায় ৷ এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায় ৷
ঘটনায় স্কুল কমিটি এবং স্থানীয় পুলিশ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে। চুরাইবাড়ি থানার অফিসাররা শীঘ্রই সেখানে পৌঁছে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবিষয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন ৷ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, এই আক্রমণ অত্যন্ত ‘লজ্জাজনক’ ৷ আমি সকল পড়ুয়ার সঙ্গে যত্ন ও স্নেহের সঙ্গে আচরণ করি ৷ তাও এমন ঘটল আমার সঙ্গে ৷ এর আগেই স্কুলে প্রবেশ নিয়ে আমি একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি ৷ যাতে কোনও ছাত্রছাত্রী স্কুলে পৌঁছতে দেরি না-করে ৷ আর যে কোনও বিষয়ে সময় মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷
উল্লেখ্য, এদিন ঘটনার সময় বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল ৷ স্কুলে বিশৃঙ্খলার জন্য পরীক্ষার কার্যক্রমে কিছুক্ষণের জন্য প্রভাব পড়ে। স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোতাইর আলি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এই ঘটনায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) সদস্যরা ধর্মনগর থেকে এসে অভিযুক্ত মহিলার শাস্তি দাবি করেন।
এছাড়াও, ঘটনার পর ধর্মনগর বীর বিক্রম ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক এবং স্কুল পরিদর্শক রঞ্জু শর্মা ওই স্কুলে যান ৷ তিনি বলেন, “পরবর্তী পদক্ষেপ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমার লিখিত অভিযোগ চাইছি ৷”
আরও পড়ুন:- কলকাতা টু বারাণসী 6 ঘণ্টায় ! তৈরি হচ্ছে নয়া এক্সপ্রেসওয়ে