ধসে গেল Nifty ও Sensex, উধাও ১২ লক্ষ কোটি টাকা, কেন এত দুরবস্থা স্টক মার্কেটে ?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- স্টক মার্কেট নিয়ে তৈরি হওয়া আশঙ্কা সত্যি হলো সপ্তাহের প্রথম ট্রেডিং দিনে। গত ট্রেডিং সেশনের থেকে লোয়ার পয়েন্টে খুলেছিল সোমবারের বাজার। সাতসকাল থেকে শুরু হওয়া পতন যত বেলা গড়িয়েছে ততই বেড়েছে। এর জেরে দেশের স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান দুই সূচক পড়েছে দেড় শতাংশের কাছাকাছি। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক সেনসেক্স ১ হাজার ৪৯ পয়েন্ট কমেছে। বাজার বন্ধের পর তা রয়েছে ৭৬ হাজার ৩৩০ পয়েন্টে। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফটি৫০ ৩৪৬ পয়েন্ট কমেছে। সোমবার বাজার বন্ধের সময় এই সূচক রয়েছে ২৩ হাজার ৮৬ পয়েন্টে। এই পতনের পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।

সপ্তাহের প্রথম দিনে সমস্ত সেক্টরাল সূচকেরই কমবেশি পতন হয়েছে। নিফটি ব্যাঙ্ক ও নিফটি আইটি কমেছে ১ শতাংশের বেশি। অন্য দিকে নিফটি অটো, নিফটি হেলথকেয়ার, নিফটি মেটাল, নিফটি পিএসইউ, নিফটি অয়েল ও গ্যাস সূচক কমেছে ২ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যে। এই পতনের জেরে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টেড সমস্ত সংস্থার মার্কেট ক্যাপিটালাইজ়েশন কমেছে ১২.৪ লক্ষ কোটি টাকা।

স্টক মার্কেটের পতনের সম্ভাব্য কারণ:

১. আন্তর্জাতিক বাজারে ত্রুড অয়েলের দাম বেড়েছে। গত তিন মাসের নিরিখে সোমবার তা সবথেকে বেশি রয়েছে। এই ঘটনা বাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

২. মার্কিন ডলারের নিরিখে টাকার দামের দুর্বলতা দিনে দিনে বাড়ছে। সোমবারও ডলারের নিরিখে টাকা দাম আরও পড়েছে। গত ১৪ মাসের নিরিখে টাকার দামের অবস্থা সবথেকে খারাপ। এর প্রভাব অতীতেও পড়েছিল বাজারে। সোমবার যেন আরও বেশি করে পড়েছে। ১ মার্কিন ডলারের সাপেক্ষে ভারতীয় মুদ্রার দাম হয়েছে ৮৬.৫৯ টাকা।

৩. আগামী সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভোটে জিতে একাধিক দেশের পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিভিন্ন নীতিতে পরিবর্তন আসতে পারে। যার প্রভাব এড়ানো মুশকিল ভারতের বাজারের পক্ষেও। ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়া এগিয়ে আসতেই এলোমেলো হয়েছে বাজারের ছন্দ।

আরও পড়ুন:– বেড়ালের রহস্যমৃত্যুতে হলো ময়নাতদন্ত, জানুন বিস্তারিত

৪. গত বছরের মতো নতুন বছরেও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত ভারতের বাজার থেকে ২১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা সরিয়েছেন ফরেন পোর্টফোলিও ইনভেস্টররা (এফপিআই)। ডিসেম্বর মাসে এই অঙ্ক ছিল ১৬ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা গত বছর অক্টোবর থেকেই এই প্রবণতা জারি রয়েছে।

৫. ফেব্রুয়ারি মাসে ২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করা হবে। বাজেটে আর্থিক নীতির কী পরিবর্তন হয়, সে দিকে নজর রয়েছে লগ্নিকারীদের। বাজেটের জন্যও কিছুটা ধীরে চলো নীতি বিনিয়োগকারীরা নিচ্ছেন বলে মত বাজার বিশেষজ্ঞদের।

৬. একাধিক সমীক্ষায় ভারতের জিডিপি গ্রোথ কম হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ সালে জিডিপি গ্রোথ কমে ৬.৪ শতাংশ হতে পারে। যা গত চার বছরের মধ্যে সবথেকে কম। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের ম্যানেজিং ডিরেক্টরও সম্প্রতি জানিয়েছেন, ২০২৫ সালে ভারতের গ্রোথ কিছুটা দুর্বল হবে। এ সবের প্রভাবেই শেয়ার বাজারের এই করুণ অবস্থা বলে জানাচ্ছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।

(বাংলা নিউস দুনিয়া অনলাইন কোথাও বিনিয়োগের জন্য পরামর্শ দেয় না। শেয়ার বাজার বা যে কোনও ক্ষেত্রে লগ্নি ও বিনিয়োগ ঝুঁকিসাপেক্ষ। তার আগে ঠিকমতো পড়াশোনা এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ বাঞ্ছনীয়। এই খবরটি শিক্ষা সংক্রান্ত এবং সচেতন করার জন্য প্রকাশিত।)

আরও পড়ুন:– স্টক মার্কেট লিস্টিংয়েই ২৫% দাম বাড়ল, এই সংস্থার শেয়ার দিতে পারে বড় রিটার্ন

 

 

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন