Bangla News Dunia , Rajib : সমাজ যত উন্নত হচ্ছে পরিবেশের ওপর যেন তার এক ভয়ংকর প্রভাব পড়ছে। ধীরে ধীরে পরিবেশের দূষণের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। জলদূষণ, শব্দদূষণ, দৃশ্যদূষণের মত ঠিক তেমনি বায়ুদূষণ এক ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। গোটা দেশ জুড়ে যেন প্রতিযোগিতা চলছে দূষণের মাত্রা বাড়ানোতে। ঠিক তেমনই বাংলাতেও অন্যান্য দূষণের মতই বায়ুদূষণ এক জ্বলন্ত সমস্যা হয়ে উঠেছে সকলের কাছে। তাই এই আবহে এবার প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে তৎপর হয়ে উঠল কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। নেওয়া হল এক বড় উদ্যোগ।
২০২২ সালে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ধাপায় বায়ো সিএনজি প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেছিলেন। যার ফলে এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে পচনশীল বর্জ্য থেকে তৈরি হচ্ছে পরিবেশবান্ধব সিএনজি গ্যাস৷ বর্তমানে সেখানে দৈনিক ১৬০ কিলোগ্রাম গ্যাস তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হল এই যে ১৬০ কিলোগ্রাম দিয়ে এত বড় শহরের চাহিদা কখনোই মেটানো সম্ভব নয়। এদিকে সামনেই আসছে শীতকাল। এই সময় বাতাসে দূষণের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। বিশেষ করে একদম সকালে এবং রাতের দিকে। আর তাই এই বায়ুদূষণ কমাতে বিকল্প পথ ভাবতেই এক বড় সিদ্ধান্ত নিল মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আরো পড়ুন : যুবশ্রী নয়, বেকারদের এই প্রকল্পে মাসে ২০০০ টাকা দেবে রাজ্য সরকার, শুরু রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
নয়া উদ্যোগ কলকাতা পুরসভায়
জানা গিয়েছে, ধাপাতেই এবার বড় মাপের বায়ো সিএনজি প্ল্যান্ট গড়ে তুলতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। এর ফলে একদিকে যেমন করতে দূষণ অনেকটা কমবে। ঠিক তেমনি অপরদিকে প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন আরও বাড়বে। গতকাল অর্থাৎ বুধবার কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদের বৈঠকের পর বায়ো সিএনজি প্ল্যান্ট বানানোর কথা জানিয়েছেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অন্যদিকে ধাপায় গোটা প্ল্যাটটি কোন জায়গায় বসবে সেটা নিয়ে আগেই আলোচনা করা হয় গিয়েছে। বায়ো গ্যাস বা প্রাকৃতিক গ্যাস তৈরির ক্ষমতা বাড়াতে সমস্ত প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই নেওয়া শুরু হয়েছে।
কী বলছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র?
এই প্রসঙ্গে, কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘ধাপায় এতদিন ধরে যে বায়ো গ্যাস তৈরি হচ্ছিল সবটাই পরীক্ষামূলক পদ্ধতিতে হয়ে আসছে। কলকাতা পুরসভার কয়েকটি গাড়িও সেই গ্যাসে চলছে। কিন্তু এর পরিমাণ খুব কম। তাই দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য মেয়র পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ধাপায় নয়া বায়ো গ্যাসের প্ল্যান্ট তৈরি হবে। এবং এর জন্য দ্রুত টেন্ডার ডাকা হবে। এটা হলে পরিবেশ রক্ষা হবে এবং আবর্জনার পরিমাণ কমবে ধাপায়।’
আরো পড়ুন :- ঝড়েও হবে না ক্ষতি, সুন্দরবন বাঁচাতে ৪৫০০ হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভ প্রকল্প, হবে বিপুল কর্মসংস্থান
#END