নতুন বছরেই নির্বাচনের ইঙ্গিত, বাংলাদেশে ইউনূসের মেয়াদ কি তবে শেষের দিকে ?

Bangla News Dunia, দীনেশ :- সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ঘটনার জেরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্নায়ুযুদ্ধ চরমে উঠেছে। কিন্তু এতকিছুর আড়ালে চলে গিয়েছে মোক্ষম সেই প্রশ্নটি-বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ আর কতদিন? নির্বাচনি সংস্কারের কথা বলে গদিতে বসে থাকা প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূসে নিজে অবশ্য দাবি করেছিলেন, যতদিন পর্যন্ত না সংস্কারের রেল তার স্টেশনে পৌঁছোচ্ছে ততদিন নতুন করে ভোট হবে না বাংলাদেশে।

আরো পড়ুন :- লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ মিলবে আরও সুবিধা, ২০২৬ এর আগেই বিরাট প্ল্যান মুখ্যমন্ত্রীর

WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হন

এরই মধ্যে শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ইঙ্গিত দিয়েছেন, নতুন বছরেই বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে। তবে একইসঙ্গে তিনি তাঁর ওই মন্তব্যকে একান্ত ব্যক্তিগত মত বলে দাবি করেছেন। গতমাসে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল, পরবর্তী নির্বাচন কবে তা তিনিই ঘোষণা করবেন। এই ইস্যুতে বাকি যাঁরা কথা বলছেন সেগুলি তাঁদের নিতান্তই ব্যক্তিগত মতামত।

আরো পড়ুন :- মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ পুতিন, দিলেন বড় আশ্বাস

৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ সরকারের। হাসিনা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যান। ক্ষমতায় আসে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তখন থেকেই চর্চা শুরু হয়েছিল, ইউনূসের সরকারের মেয়াদ আর কতদিন। প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়ার পর ইউনূস প্রথমে জানিয়েছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োন করা হবে। পরে তাঁর সরকারের আইনি উপদেষ্টা ২০২৫ সালে নির্বাচন করানো সম্ভব। কিন্তু সম্প্রতি ইউনূস জানিয়ে দিয়েছেন, ভোটের আগে বাংলাদেশের অর্থনীতি, প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা এবং আমলাতন্ত্রের সংস্কারের প্রয়োজন। তদারকি সরকারের আরও এক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছিলেন, ২০২৬ সাল নাগাদ সাধারণ নির্বাচন করানো হতে পারে। অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত যতজন নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে মন্তব্য করেছেন সবই ভাসা ভাসা। ফলে ইউনূসের সরকারের মেয়াদ আর কতদিন সেটা একমাত্র তিনিই বলতে পারবেন।

আরো পড়ুন :- আর অল্প সময়ের অপেক্ষা, রাতের আকাশে দেখা যাবে এক মহাজাগতিক বিস্ময়, আরও জানতে পড়ুন…..

এদিকে শনিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক কর্মশালায় বলেছেন, সব দল কাজ করেছে, সব মানুষ একত্রিত হয়েছিলেন বলেই স্বৈরাচার বিদায় নিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখার জন্য বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে শত্রুতা শুরু করেছে ভারত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষ কোনও শক্তির সামনে মাথানত করবে না।’