নতুন বছরে পোস্ট অফিস চালু করল নতুন নিয়ম। এই কাজ না করলে লেনদেন বন্ধ। বিপদে পড়ার আগে জেনে নিন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

post office

 

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- নতুন বছরে পোস্ট অফিস চালু করল নতুন নিয়ম। এই কাজ না করলে লেনদেন বন্ধ। বিপদে পড়ার আগে জেনে নিন

ভারতীয় পোস্ট অফিস (Post Office) মাঝেমধ্যে নানান ধরনের নিয়ম চালু করে গ্রাহকদের জন্য।
তাদের মধ্যে বেশ কিছু নিয়ম অবশ্যই গ্রাহকদের মেনে চলতে হয়। নয়তো লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। সম্প্রতি নতুন বছরের শুরুতে নতুন নিয়ম চালু করেছে পোস্ট অফিস। যে নিয়ম না মানলে লেনদেনের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। শুধু তাই নয় বন্ধও হতে পারে লেনদেন।

Post Office New Rule

বর্তমানে পোস্ট অফিসে টাকা রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বহু মানুষ। কারণ পোস্ট অফিসে টাকা বিনিয়োগ করা অনেক বেশি নিরাপদ এবং তুলনায় ভালো সুদ পাওয়া যায়। তাই দুই দিক বিচার করে পোস্ট অফিসে টাকা রেখে লাভবান হতে আগ্রহী থাকেন তাঁরা। তবে পোস্ট অফিসে টাকা রাখলে সেখানকার নিয়ম কানুন মেনে চলা জরুরী। তাই নজর থাকুক আজকের প্রতিবেদনে। এখানে বলা হচ্ছে পোস্ট অফিসের নতুন নিয়ম সম্পর্কে। নতুন বছরের শুরুতে কি কি নিয়ম চালু হয়েছে, প্রত্যেক পোস্ট অফিসের গ্রাহক এই বিষয়ে জেনে নিন।

আসলে বহুদিন ধরে নানান অভিযোগ শোনার পর পোস্ট অফিসে লেনদেন অথবা নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে যে প্রতারণা তা রুখতে এবার বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে। সূত্রের খবর, আগামী ২০২৫ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে দেশ জুড়ে চালু হচ্ছে আধার যাচাই এবং বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে ই-কেওয়াইসি (e-KYC) প্রক্রিয়া।

কোন কোন নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে?

১) প্রথমত, এবার থেকে পোস্ট অফিসের ই-কেওয়াইসি (e-KYC)-এর মাধ্যমে একজন গ্রাহকের নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এবার থেকে আর কোনরকম কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে না। সেক্ষেত্রে গ্রাহকরা শুধুমাত্র আধার যাচাইকরণ ও বায়োমেট্রিক আপডেটের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট সহজেই খুলতে পারবেন।

২) দ্বিতীয়ত, একজন গ্রাহক ই-কেওয়াইসি (e-KYC)-এর মাধ্যমে এবার সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা পর্যন্ত একবারে তুলতে পারবেন। সেই গ্রাহক মাসে সর্বাধিক ৫০০০০ টাকা তুলতে পারবেন। এর বেশি টাকা তুলতে চাইলে পুরনো পদ্ধতিতে ভাউচার জমা দিতে হবে তাঁকে। তাই মনে করা হচ্ছে যে, এবার থেকে লেনদেন আরো সহজতর হয়ে যাচ্ছে।

৩) স্বাভাবিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে, এই আধার যাচাই এবং বায়োমেট্রিক বাধ্যতামূলক হওয়ায় গ্রাহকদের আসল পরিচয় নিশ্চিত করা অনেক বেশি সহজ হবে। যার ফলে প্রতারণার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।

তাই মনে রাখবেন, যারা ভারতীয় ডাক বিভাগের পুরনো গ্রাহক তাদের আধার যাচাইয়ের মাধ্যমে অতি দ্রুত ই-কেওয়াইসি (e-KYC) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। আর এই কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরেই আধার ব্যবহার করে লেনদেন করা যাবে।

আসলে ডাক বিভাগের উদ্দেশ্য হল, কাগজপত্রের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে এনে কোনরকম প্রতারণার ঝুঁকি না রেখে গ্রাহকদের সুবিধা করে দেওয়া এবং সেদিকে ব্যবস্থা রাখা। মনে করা হচ্ছে যে, নতুন পদ্ধতিতে গ্রাহক সেবা আরও দ্রুত এবং সুরক্ষিত হবে।

 

আরও পড়ুন:– পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্কুলে প্রচুর শিক্ষক নিয়োগ চলছে! আবেদন পদ্ধতি সহ বিস্তারিত দেখেনিন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন