Bangla News Dunia , পল্লব : ২০২০ সালে লকডাউনের ধাক্কায় দেশে বেকারত্বের হাল হয়ে উঠেছিল ভয়ানক। পরিস্থিতি খানিক সামলাতে না সামলাতেই এসে পড়েছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ক্রমেই কেন্দ্রের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বেকারত্ব। এবার ডিসেম্বরে দেশের বেকারত্বের হার ৮.৩ শতাংশে পৌঁছতেই তৈরি হল নয়া নজির। গত ১৬ মাসের মধ্যে এই হারই সর্বোচ্চ।
আরো পড়ুন :- বাংলায় ৭৩৪ কোটির বিনিয়োগ মোদী সরকারের
CMIE এই নতুন হিসেব পেশ করেছে। সেই হিসেব থেকে দেখা যাচ্ছে, নভেম্বরে এই হার দাঁড়িয়েছিল ৮ শতাংশে। একমাসেই তা একধাক্কায় ০.৩ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। শহরে বেকারত্বের হার ১০.০৯ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে তা ৭.৪৪ শতাংশ। নভেম্বরে হার ছিল যথাক্রমে ৮.৯৬ শতাংশ ও ৭.৫৫ শতাংশ।
বেকারত্বের গ্রাফের এহেন ঊর্ধ্বমুখী হওয়াটায় আশঙ্কার কিছু দেখছেন না সিএমআইয়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহেশ ব্যাস। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে তিনি জানিয়েছেন, ”বেকারত্বের হার যাই হোক, বিষয়টা ততটা খারাপ নয় কিন্তু। একে তো শ্রমিকের অংশগ্রহণের হার বেড়েছে। তার উপর কর্মসংস্থানের হার ডিসেম্বরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭.১ শতাংশে। যা ২০২২ সালের জানুযারি থেকে ধরলে সর্বোচ্চ।”
আরো পড়ুন :- ডিসেম্বর ছেড়ে এ বার জানুয়ারির-হুমকি শুভেন্দুর !
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও RBI-র প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের আগে মুখ খুলেছিলেন দেশের বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের খারাপ পরিস্থিতি নিয়ে। তাঁর বক্তব্য, যদি ভারতে বেকারত্বের হার বেশি থাকে তবে সুযোগ নেবে ‘উদ্যমী’ রাজনীতিবিদরা, তাঁরা কর্মসংস্থানের মতো প্রকৃত সমস্যা থেকে মুখ ঘুরিয়ে ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি করবে।
আরো খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল
আরো পড়ুন :- পাকিস্তানে হামলা চালাল আফগান তালিবান, নিহত ৬, আহত ১৭
আরো পড়ুন :- দেশে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি সর্বনিম্ন ! দ্রুত কমবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ?