Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- একের পর এক যৌন অপরাধ। নাবালক ছাত্রকে যৌন শোষণ। কখনও মানসিক অত্যাচার, কখনও আবার নানা ভাবে ব্ল্যাকমেল। বছর বারোর এক বালকও অত্যাচার থেকে রেহাই পায়নি। আর এই সব অভিযোগই ছিল এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। অবশেষে দীর্ঘ মামলার পরে একাধিক যৌন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২৫ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হল আমেরিকার এক শিক্ষিকা।
আমেরিকার টেনেসির বাসিন্দা অ্যালিসা ম্যাককমন টিপটন কাউন্টির একজন ফোর্থ গ্রেড টিচার ছিল। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অন্তত ২১ জনের উপর যৌন অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার মধ্যে ৫টি ঘটনা অভিযুক্ত নিজেই অভিযোগ স্বীকার করেছে।
২০২১ সালে প্রাক্তন এক নাবালক ছাত্রের উপর অত্যাচারের অভিযোগও উঠেছিল ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তার সঙ্গেই অ্যালিসা ম্যাককমনকে হিংসাত্মক যৌন অপরাধী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। কোনও নির্যাতিতের সঙ্গে কোনওদিন সে যোগাযোগ করতে পারবে না।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, এই শিক্ষিকা প্রথমে নিজের ছাত্রদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলত। কখনও গল্প করে, ভিডিয়ো গেম খেলে ভরসার সম্পর্ক গড়ে তুলত। ছাত্রের অভিভাবকদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক তৈরি করতো। তারপরেই ভেবেচিন্তে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করতো এই শিক্ষিকা।
স্থানীয় টেলিভিশন মিডিয়া সূত্রের খবর, এক ছাত্রের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল ওই শিক্ষিকা। অন্তত ২০০ বারেরও বেশি যোগাযোগ করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর ছবি পাঠানো হতো ওই পড়ুয়াকে। সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে গেলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে ওই পড়ুয়াকে মানসিক নির্যাতন করত অভিযুক্ত শিক্ষিকা। এই প্রমাণও মিলেছে।
২০২১ সালে অ্যালিসা ম্যাককমনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। ২০২৩ সালে এক ছাত্রের মা একাধিক অভিযোগ আনেন অ্যালিসার বিরুদ্ধে। ওই বছরের অগস্টে বরখাস্ত করা হয় শিক্ষিকাকে এবং একাধিক যৌন অপরাধের ঘটনার অভিযোগে সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে একবার বন্ডে ছাড়া পেলেও শর্ত ভাঙার কারণে ফের জেলে যেতে হয় অ্যালিসাকে। সেই সময়েই এক নাবালক নির্যাতিতকে অভিযুক্ত জানায় যে, তার বাচ্চার মা হতে চলেছে অ্যালিসা। পরে ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা যায় সেই দাবি সত্যি। মামলার শুনানির পরে সাজাঘোষণার সময় বিচারক জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে ওই শিশুর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ রাখতে পারবে না অ্যালিসা।