Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সিউড়ির বিখ্যাত মোরব্বা, আচার। মিষ্টির দোকানগুলিতে রমরমিয়ে বিক্রি হয়। কিন্তু যা বিক্রি হচ্ছে, আদৌ স্বাস্থ্যকর? সেই উত্তর খুঁজতেই মঙ্গলবার সকালে সিউড়ি বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন একাধিক মিষ্টির দোকানে হানা দেন জেলা খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখেন দোকানের পরিবেশ, খাবারের মান। মেয়াদ উত্তীর্ণ বেশ কিছু মোরব্বা ফেলেও দেন আধিকারিকরা।
বীরভূমের মোরব্বার জনপ্রিয়তা সকলেরই জানা। নবাব আমলের কথা সে সব। শক্তিগড়ের সঙ্গে ল্যাংচা, বর্ধমানের সঙ্গে সীতাভোগ-মিহিদানা, গুপ্তিপাড়ার সঙ্গে কাঁচাগোল্লা কিংবা কৃষ্ণনগরের সঙ্গে সরভাজা যেমন সম্পৃক্ত, ঠিক তেমনই সিউড়ির সঙ্গে জুড়ে রয়েছে মোরব্বার নাম। তাবড় রাজনীতিক থেকে তারকা, সিউড়ির মোরব্বার ভক্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। প্রতিদিন প্রচুর টাকার ব্যবসা করেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু জনপ্রিয় হলে, দায়ও যে প্রচুর। বিশেষ করে খাবারের মানের সঙ্গে তো কোনও ভাবেই আপস করা যায় না। এ দিন দোকানগুলিতে গিয়ে, স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের আধিকারিকরা। বীরভূম সিউড়ি জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক প্রসেনজিৎ বটব্যাল বলেন, ‘সিউড়ি মোরব্বা, আচারের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় স্বাস্থ্যকর ভাবে এই খাবার রাখা হয় না। আচারের শিশির গায়ে কোনও লেবেল থাকে না। ফলে কবে তৈরি, কবে প্যাকেজিং করা হয়েছে, কিছুই বোঝা যায় না। আদৌ তা খাওয়ার যোগ্য কি না তাও জোর দিয়ে বলা যাবে না। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু খাবার ফেলে দিয়েছি।’
শুধু তাই নয়, রান্নাঘরে মাকড়সা, আরশোলাও দেখা গিয়েছে। এ দিকে খাবার পড়ে আছে খোলা অবস্থায়। এ সব চলবে না, স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের। সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মিষ্টি ব্যবসায়ী বলরাম মণ্ডল জানান, খাবার ঢেকে রাখতে বলা হয়েছে। কর্মীদের নখ পরিষ্কার রাখা, মাথায় টুপি পরে কাজ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শ্যামসুন্দর দে নামে আর এক ব্যবসায়ীরও তাই বক্তব্য। তাঁর দোকানের এক ড্রাম মোরব্বা খারাপ বলে, ফেলেও দেন আধিকারিকরা। এ নিয়ে অবশ্য তাঁর বক্তব্য, ‘ওটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বলে আলাদাই ছিল। ওটা ফেলে দেওয়াই হতো। উনি সামনে ফেলে দিলেন। আর কিছুই না। আমাদের দোকান এমনিই পরিষ্কার। আরেকটু পরিষ্কার আর ঢাকা দিয়ে রাখতে বলেছেন।’
প্রসঙ্গত, গত বছর শক্তিগড়ে ল্যাংচা হাবে হানা দিয়েছিল সে জেলার স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। সে বার ছত্রাক ধরে যাওয়া ল্যাংচা উদ্ধার করে পরিবেশবান্ধব উপায়ে মাটি চাপা দিয়ে দিয়েছিল। খাদ্য কিংবা স্বাস্থ্য দপ্তরের অভিযানেই ব্যবসায়ীদের সতর্কতা বাড়বে বলে দাবি সাধারণ মানুষের।
আরও পড়ুন:– ব্রিটেনই ভেঙে দিয়েছিল ভারতের উৎপাদন শিল্পের কোমর, কত টাকা লুট করেছিল তারা?
আরও পড়ুন:– ভারতীয় রেলে 32,438 শূন্যপদে চাকরি। মাসিক বেতন 18,000/- টাকা। মাধ্যমিক পাশে আবেদন করুন