নিজের এইসব গোপন কথা বলে বসবেন না AI-কে, তছনছ হবে প্রাইভেসি, জেনে নিন বিস্তারিত

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এআই এখন অনেক কাজই চোখের নিমেষে করে ফেলছে। চিঠি লিখছে, মিটিংয়ের নোট নিচ্ছে কখন দাঁত মাজবেন, সেটাও রিমাইন্ডার সেট করে জানিয়ে দিচ্ছে এআই। যে এআই টুলগুলি আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে, সেগুলির বেশিরভাগই লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল বা এলএলএম। কিন্তু এই প্ল্যাটফর্মে বেশ কিছু ক্ষেত্রেই প্রাইভেসি নষ্ট হচ্ছে। যা থেকে বাড়ছে সাইবার ক্রাইম। কী ভাবে এই প্রাইভেসি রক্ষা করেই যাতায়াত করা যায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আনাচ-কানাচে?

এখন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চ্যাটবটের সঙ্গে কথা বলাটা রোজকার দস্তুর। নিজের অজান্তে অনেকেই ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করে ফেলেন ওই চ্যাটবটের সঙ্গে। সেই তথ্যই হাতিয়ে নিয়ে সাইবার ক্রাইম করে সাইবার জালিয়াতরা। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, এআই টুলের সঙ্গে কথা বলা ৭০ শতাংশ মানুষই ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করে। ৩৮ শতাংশ মানুষ এমন কিছু তথ্য দিয়ে দেন, যা পরে সাইবার জালিয়াতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই টুলের সঙ্গে চ্যাট করার সময়ে ঠিকঠাক কথা বলাটা জরুরি। না হলেই বিপদ আসন্ন।

আরও পড়ুন:– ‘বিষাক্ত’ দিল্লির বাতাস, সামাল দিতে GRAP 4-এ ফিরল দেশের রাজধানী, বিস্তারিত জানুন

কয়েকটা হাতে-গরম নজির দেওয়া যাক। হয়তো কেউ চ্যাট বটকে বলল, তুমি আমার সম্পর্কে যা জানো, তার ভিত্তিতে বলো, আমার পার্সোনালিটি কেমন? এই রকমের প্রশ্ন করলেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিজেকে আরও বেশি ধারালো করার জন্য বেশ কিছু পাল্টা প্রশ্ন জানতে চাইবে। সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে গিয়ে অনেকেই জানিয়ে দেবে, জন্মের স্থান, তারিখ কিংবা কী শখ, কী কাজ করেন। এই তথ্যগুলো রয়ে যাবে ইন্টারনেটের ওপেন স্পেস এর মধ্যে। যা পরে হাতিয়ে নেবে সাইবার জালিয়াতরা।

তাই প্রশ্ন খুব ভেবে-চিন্তে করতে হবে। যেমন ১৫ ডিসেম্বর আমার জন্ম। আমি সাইক্লিং করতে খুব ভালবাসি। বলো তো, আমার সম্পর্কে কী জানো? না এই প্রশ্ন যদি করতেই হয়, তা হলে করা উচিত, ডিসেম্বর মাসে জন্ম নেওয়া একজনের পার্সোনালিটি কেমন হওয়া উচিত? পার্থক্যটা খুব সূক্ষ্ম। কিন্তু তার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদ। কখনওই কোনও ডেটা শেয়ার করা উচিত নয় এআই এর কাছে।

বাবা মায়েদেরও কখনওই সন্তানের নাম, স্কুলের নাম বা সারাদিনের রুটিন জানানো উচিত নয়। এই রকম তথ্যের ভিত্তিতে সাইবার জালিয়াতরা ফোন করে বলতেই পারে আপনার ছেলে বা মেয়ে তাদের কাছে পণ বন্দি আছে। তাদের মুক্তির জন্য আসতেই পারে টাকার দাবি। তাই ছোট্ট কিছু ভুল এড়িয়ে গেলেই বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

কখনওই কোনও রোগের তথ্য শেয়ার করা উচিত নয়। সবাই হামেশাই এই ভুলটা করে। প্রশ্ন করে ফেলে, আমার ফ্যামিলি হিস্ট্রিতে বিশেষ এই রোগটি আছে। আমার কি কোনও সমস্যা হতে পারে। একদম নয়। নিজে সুরক্ষিত কি না জানতে বিশেষ সেই রোগটার উপসর্গ জানাই ভালো। তাতে সমস্যাও মেটে, বিপদও কাটে। বোঝাই যাচ্ছে, সুরক্ষিত থাকার উপায় নিজের হাতেই রয়েছে। একটু সচেতন হলেই হল। বাঁচা যাবে বড় বিপদ থেকে।

আরও পড়ুন:– হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধের খবরে হুহু করে বাড়ল আদানি গোষ্ঠীর স্টকের দাম

আরও পড়ুন:– সরকারি কর্মীরা পাবেন 25 লাখ টাকা। অবসরের পর বিশেষ সুবিধার ঘোষণা করল সরকার। দেখে নিন বিস্তারিত

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন