নেহেরু-গান্ধী নাকি ‘বীর নেতাজি’ ! কার হাত ধরে এসেছিল ভারতের স্বাধীনতা ?

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia , পল্লব : ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর কেটে গিয়েছে। ব্রিটিশদের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করার জন্য ভারতীয়রা কম লড়াই করেননি। তবে দেশের স্বাধীনতা এনে দেওয়ার পিছনে যে সমস্ত মানুষদের অবদান রয়েছে তাঁদের ভূমিকা নিয়ে আজও চর্চা জারি রয়েছে। তাঁদের মধ্যেই রয়েছে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী, দেশের পথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। বাকিরা দেশে থেকে ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করলেও নেতাজি ভারতের বাইরে থেকে দেশ স্বাধীনতায় অনস্বীকার্য অবদান রেখেছেন।

আরও পড়ুন : স্বাধীনতার প্রাক্কালে কেন দেশভাগ হয়েছিল ? জানুন যন্ত্রণার করুণ ইতিহাস

ব্রিটিশ সরকারের শাসন ক্ষমতার ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল নেতাজির গঠিত সেনা দল। । ভারতের স্বাধীনতা লাভের প্রধান কারণ নেতাজি এবং তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজ। এই কথা বলেছিলেন ভারতের স্বাধীনতার সময়ে থাকা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি। ব্রিটিশদের হাত থেকে ভারতকে মুক্ত ঘোষণা করার পরেই ক্লিমেন্ট এটলি জানিয়েছিলেন গান্ধী বা নেহেরু নন ভারতকে স্বাধীন করার পিছনে সবথেকে বড় অবদান রয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর । যাদের সঙ্গে নেতাজির তুলনা সেই জাতির জনক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীও আজাদ হিন্দ বাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন।

ঠিক যেমন মেঘনাদ মেঘের আড়াল থেকে যুদ্ধ করতেন তেমনি ভারতে না থেকেও দেশকে স্বাধীন করার লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। ১৯৪৩-এ ২১ অক্টোবর সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ বাহিনীর সর্বোচ্চ সেনাপতি হিসেবে স্বাধীন ভারতের অস্থায়ী সরকার গঠন করেন সুভাষ চন্দ্র বসু। তিনিই ছিলেন সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তারপর জাপানি বেতার থেকে নেতাজি  ভারতের স্বাধীনতার  বার্তা প্রচার করেন। ভারতবাসীর উদ্দেশ্যে জোর গলায় বলেছিলেন, “তােমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তােমাদের স্বাধীনতা দেব”।

১৯৪৪-এ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতের কোহিমা ও ইম্ফলের কাছে ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল নেতাজির সেনাদল। এরপর জাপানের কাছ থেকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অধিকার আজাদ হিন্দ সরকার অর্জন করেছিল। এই সরকারকে স্বীকৃতি জানায় জাপান,জার্মানি এবং ইটালি সমেত আটটি দেশ। ১৯৪৫ সালে আজাদ-হিন্দ-বাহিনীর প্রভাব ব্যপক ভাবে পড়ে ভারতে। দেশজুড়ে  ব্রিটিশ-বিরােধী আন্দোলনের সৃষ্টি হয় যেটা ব্রিটিশ সরকারকে ক্রমশ ভীত ও সন্ত্রস্ত করে তােলে।

আরও পড়ুন : গরীব মানুষের মসিহা মোদী ! বললেন অমিত শাহ

১৯৪৬ সালের নৌ বিদ্রোহকে ভারতের স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ কারণ মনে করা হয়। আর এই নৌ বিদ্রোহের মূলেই ছিল আজাদ হিন্দ ফৌজের তিন সেনানায়ক পিকে সায়গল, শাহনওয়াজ খান এবং গুরুবক্স সিং ধীলনের বিচারের নামে চলা প্রহসন। বাহিনীর পতনের পর লালকেল্লায় তিন সেনানায়কের বিচার শুরু হলে আগুন জ্বলে ওঠে নৌবাহিনীতে। সে আগুন নেভানোর ক্ষমতা ব্রিটিশ সরকারের ছিল না। সেই ঘটনার পর থেকেই ধীরে ধীরে পতন ঘটতে শুরু করে ব্রিটিশ সরকারের। #End

আরও পড়ন : ৬ কোটি মানুষকে বিরাট উপহার দিল মোদী সরকার !

আরও পড়ুন : বাসভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মমতার !

আরও পড়ুন : আমজনতার জন্য সুখবর ! মাসের শুরুতে সস্তা রান্নার গ্যাস

আরও পড়ুন : রাজ্য জুড়ে ২০০০ সভা করবে বঙ্গ বিজেপি !

আরো খবর দেখতে নিচের ছবিতে ক্লিক করুন

আরো পড়ুন :- ইউপিআই ব্যবহারে নয়া রেকর্ড ! আপনি কি করছেন ?

আরও পড়ুন : কিভাবে চিনবেন আপনার প্রকৃত বন্ধুকে ? পড়ুন চানক্য নীতি

আরও পড়ুন : আদিকাল থেকে পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছে বহু ধর্ম ! জানুন এমন বৃহৎ ১০টি ধর্ম সম্পর্কে

আরও পড়ুন : পৃথিবী জুড়ে ভয়াবহ জলবায়ু পরিবর্তন ! ধ্বংসের মুখে মানবজাতি

বিশেষ দ্রষ্টব্য :- ” আমাদের কাছে আপনার ও আপনার সময়ের দাম রয়েছে , তাই আমরা আমাদের লাভের জন্য অযথা খবর বড় করি না , আমরা দিয়ে থাকি আপনাদের পয়েন্টের খবর। যাতে আপনার সময় নষ্ট না হয়। আমাদের এই শর্ট নিউজ আপনাদের কেমন লাগছে তা নিচে কমেন্টে জানান। যদি এই রকম শর্ট নিউজ আরো বেশি করে দেখতে চান তবে like করুন ও কমেন্টে YES লেখে আমাদের জানান। আর অবশই আমাদের পাশে থাকতে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন।” ‘ধন্যবাদ’

আরো পড়ুন :- BIG NEWS: এবার আধার-রেশন কার্ড লিঙ্ক করা যাবে, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে

আরও পড়ুন : মন্দিরে নিষিদ্ধ RSS ! জোর বিতর্ক

আরও পড়ুন : মহিলাদের ‘ব্যাংক একাউন্টে’ টাকা পাঠাবে মোদী সরকার !

এই রকম আরো খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন