Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বাংলাদেশে বাড়ছে ভারত-বিদ্বেষ। কলকাতা এবং দিল্লি দখলের হুমকির পাশাপাশি ভারতের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশিদের একাংশ। এই সময়েই পাকিস্তান থেকে আবার পণ্যবাহী জাহাজ এসেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে আওয়ামি লিগের দাবি, সেই জাহাজে রয়েছে বিস্ফোরক। দু’টি কন্টেনারে কেন ওই বিস্ফোরক আনা হয়েছে,তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
নভেম্বরের পর চলতি মাসের ২১ তারিখে করাচি থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ নামে ওই জাহাজ। আওয়ামি লিগের দাবি, তখনই কন্টেনারগুলি পরীক্ষা করে বিস্ফোরক থাকার কথা জানা যায়।
আরো পড়ুন:– 3 বছর বয়সে মুখস্থ 100 দেশের নাম, বিরল প্রতিভাকে স্বীকৃতি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বুক অফ রেকর্ডসের
আওয়ামি লিগের আরও দাবি, ওই কন্টেনারগুলিতে পাওয়া গিয়েছে কম্বোডিয়ার একটি সংস্থায় তৈরি ‘সিসমিক ইমালশন এক্সপ্লোসিভ’। তা উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক হিসেবে পরিচিত। এই বিস্ফোরক সেনাবাহিনী বা নিরাপত্তা সংস্থার জন্য আনা হয়নি বলে সূত্রের খবর।
তবে, চট্টগ্রাম বন্দরের আধিকারিকরা দাবি করেছেন, ওই জাহাজে এসেছে পরিশোধিত চিনি, খনিজ ডলোমাইট, সোডা অ্যাশ, কাপড়ের রোল, পুরোনো লোহার টুকরা এবং আখের গুড়ের মতো জিনিস। এছাড়াও ওই জাহাজে আরব আমিরশাহী থেকে খাদ্য, লুব্রিক্যান্ট অয়েল এবং যন্ত্রাংশ এসেছে।
তবে বিপজ্জনক বিস্ফোরক দ্রব্যের কোনও উল্লেখ পণ্যের তালিকায় ছিল না। কী উদ্দেশ্যে বা কার নির্দেশে এই বিস্ফোরক আমদানি করা হয়েছে, তা নিয়ে এখনও কোনও সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
আওয়ামি লিগের ওই পোস্টে দাবি করা হয়েছে, আমদানিকারক সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কাস্টমস এবং নৌবাহিনীর আধিকারিকরা কন্টেনারগুলি পরীক্ষা করেন। আধিকারিকরা ওই কন্টেনার দু’টি প্রায় ১ ঘণ্টা আটকে রেখেছিলেন। কিন্তু পরে অজ্ঞাত কারণে কন্টেনার দু’টি ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর মধ্যে WHLU-৪২৬১৭৯৪২ জি-১ নামে একটি কন্টেনারের ছবি পাওয়া গিয়েছে। তাতে লাল রঙে ‘সিসমিক ইমালশন এক্সপ্লোসিভ’ লেখা আছে। একটি কন্টেনার সিলেটের দিকে পাঠানো হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। এই বিস্ফোরক ভারতে নাশকতা চালানোর জন্য কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
একটি সংবাদমাধ্যমের কথা উল্লেখ করেই এই বিস্ফোরক আসার দাবি করেছে আওয়ামি লিগ। এমন সময়ে এই বিস্ফোরক আসার দাবি করা হয়েছে যখন পশ্চিমবঙ্গ, অসমের নানা এলাকা থেকে বাংলাদেশি জঙ্গি এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় নাশকতার ছক করা হয়েছে বলে জেরায় কবুলকরেছে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা।
আরো পড়ুন:– PAN 2.0 এবং PAN Card এর মধ্যে আসল পার্থক্য কোথায়? 90% মানুষ জানেন না! বিপদে পড়ার আগে জেনে নিন
আরো পড়ুন:– মহারাষ্ট্র ATS-এর হাতে পাকড়াও ১৩ বাংলাদেশি, কেন ভারতে ঢুকেছিল তারা? জেনে নিন