Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পার্সেলের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন মহিলা। কলিং বেল বাজতেই দরজা খুলতে ছোটেন। দরজার সামনে পড়ে থাকা বড়সড় পার্সেল ঘরে এনে খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ। ভিতরে রয়েছে পচাগলা দেহ। সঙ্গে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা চেয়ে এক হুমকি চিরকুট। পরে জানা যায়, ওই দেহটি একজন পুরুষের। হাড়হিম করা এই ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণ গোদাবরী এলাকায়। কে এমন মৃতদেহ বন্দি পার্সেল পাঠাল অন্ধ্রের মহিলাকে? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ গোদাবরী এলাকার উন্দি মণ্ডলের ইয়েন্দাগন্দি গ্রামের বাসিন্দা নাগা তুলসি সাহায্য চেয়ে স্থানীয় ক্ষত্রিয় সেবা সমিতির দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বাড়ি তৈরির জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক পরিস্থিতি না থাকায় নগদ চেয়েছিলেন তিনি। তবে সেবা সমিতির তরফে নগদের বদলে জিনিস দিয়ে সাহায্যের কথা জানানো হয় তাঁকে। প্রথমবার পার্সেলে টাইলস পাঠানো হয় নাগা তুলসীকে। এর পর ফের তিনি সাহায্য চাইলে ইলেকট্রনিক্স আইটেম দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন সেবা সমিতির সদস্যরা। তাঁকে বলা হয় শীঘ্রই পার্সেলে ফ্যান, পাখা, আলো, সুইচবোর্ডের সামগ্রী পাঠানো হবে বাড়িতে। সেই পার্সেলের অপেক্ষাতেই দিন গুনছিলেন নাগা তুলসী।
আরো পড়ুন:- সুখবর! রাজ্য সরকারি কর্মীদের নিউ ইয়ার গিফট! আচমকাই 7% ডিএ বৃদ্ধি করল সরকার। জেনে নিন কবে থেকে পাবেন
একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পান নাগা তুলসী। সেটিতে উল্লেখ করা ছিল, তাঁর বাড়িতে যে কোনও মুহূর্তে ফ্যান, পাখা, আলো, সুইচবোর্ডের সামগ্রী ভর্তি একটি পার্সেল পৌঁছবে।
বৃহস্পতিবার রাতে যথা সময়ে দরজায় কলিং বেল বাজিয়ে জনৈক ডেলিভারি বয় পার্সেলটি পৌঁছে দেন। কিন্তু পার্সেল খুলতেই দেখা যায় সেটিতে রয়েছে মৃতদেহ। ভয়ে আঁতকে ওঠেন অন্ধ্রের ওই মহিলা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
ইতিমধ্যেই ওই মৃতদেহটি হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে, কোথা থেকে এমন পার্সেল এল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার আদনান নইম আসমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আরো পড়ুন:- ভারতে পরমাণু বোমা ফেলার হুঁশিয়ারি বাংলাদেশের
পার্সেল থেকে মৃতদেহের সঙ্গেই উদ্ধার হয় একটি চিরকুট। যেটিতে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করে একটি হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই টাকা না দেওয়া হলে নাগা তুলসীর পরিবারকে রেয়াত করা হবে না বলে হুমকি বার্তা দেওয়া হয়েছে।
যে ব্যক্তি পার্সেলটি ডেলিভারি করেছেন তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ক্ষত্রিয় সেবা সমিতির সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে থানায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি ৪৫ বছর বয়সি এক পুরুষের। চার-পাঁচ দিন আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান প্রাথমিক তদন্তে। অন্যত্র খুন করে দেহটি লোপাটের জন্য পার্সেলে ভরা হয়েছিল বলেও মনে করছে পুলিশ। ব্যক্তির পরিচয় খুঁজতে নিকটবর্তী থানার মিসিং ডায়েরিগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:- হাওড়া শাখায় ১ মাসের বেশি বাতিল বহু লোকাল, ভোগান্তি এড়াতে দেখে নিন তালিকা