Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পালিয়ে বিয়ে করেছে মেয়ে। ছেলের পরিবারের উপর রাগ ছিল মেয়ের বাড়ির লোকেদের। তার পরেই বাড়িতে চড়াও হয়ে ছেলের বাবাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল। নৃশংস ঘটনা জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে। মৃত ব্যক্তির নাম মুরারি মজুমদার (৬০)। ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ি ব্লকের অন্তর্গত সাকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সুমিত মজুমদার ফালাকাটা ধনিরামপুর এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে ১৫ জানুয়ারি পালিয়ে যান। স্থানীয় একটি মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, সুমিতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই যুবতীর। মেয়ের বাড়ি থেকে সম্পর্ক মেনে নেবে না বুঝতে পেরেই দু’জনে বাড়ি থেকে পালিয়ে মন্দিরে বিয়ে করেন।
এ দিকে মেয়ের পরিবারের তরফে খবর পেয়ে ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ছেলের পরিবারের সদস্যরাও দু’জনের খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দু’জনকে নিয়ে জলপাইগুড়ি আদালতে আসা হয়। বিচারকের সামনে দু’জনে গোপন জবানবন্দিও দেন। বাড়ি ফেরার সময়ে মেয়ের বাপের বাড়ির লোকেরাও আদালতে গিয়ে হাজির হন। মেয়েকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু আদালত চত্বরে থাকা আইনজীবী ও স্থানীয় মানুষদের বাধায় তাঁদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
অভিযোগ, মেয়ের পরিবারের লোকেরা বৃহস্পতিবার রাতে সুমিতের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। তাতে জখম হন বেশ কয়েকজন। রক্ষা পায়নি সাত মাসের প্রসূতিও। গুরুতর জখম অবস্থায় সুমিতের বাবা মুরারি মজুমদারকে প্রথমে ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত ব্যক্তির ছেলে অমিত মজুমদার বলেন, ‘আমার বাবাকে বেধড়ক মারতে শুরু করে। আমি বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করে। ওঁদের মারেই আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। আমরা বিচার চাই এবং অভিযুক্তদের শাস্তি চাই।’ এ বিষয়ে ধূপগুড়ি থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য বলেন, ‘মৃতের পরিবারের তরফে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’
আরও পড়ুন:– কুম্ভের মতো দুর্ঘটনা বাংলায় হলে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলত বিজেপি, কটাক্ষ অভিষেকের
আরও পড়ুন:– কলকাতা সিটি সিভিল কোর্টে প্রচুর কর্মী নিয়োগ চলছে! কিভাবে আবেদন করবেন দেখুন