‘পালিয়ে ভারতে আসিনি, এসেছি কারণ…’, মুখ খুললেন চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হওয়া হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের হয়ে আইনি লড়াই লড়বেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ওপার বাংলার এই আইনজীবী সম্প্রতি চিকিৎসার জন্য ব্যারাকপুরে এসেছেন। এর পরেই নেটপাড়ায় শোরগোল। ‘ভয়ে পালিয়ে এসেছেন’, নেটিজেনদের একাংশের দাবি এমনটাই। এ বার সমস্ত ট্রোলের পাল্টা মুখ খুললেন চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী।

রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে এসেছেন। পালিয়ে আসেননি।২ জানুয়ারি চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের হয়ে চট্টগ্রাম আদালতে সওয়াল করবেন, জানালেন সেই কথাও।‘মরতেও ভয় পাই না’, জানালেন তিনি।

গত ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের হয়ে বাংলাদেশের কোনও আইনজীবী চট্টগ্রাম আদালতে সওয়াল করতে চাননি। অভিযোগ তোলা হয়, তার আগের শুনানিতে যে সমস্ত আইনজীবী এই হিন্দু সন্ন্যাসীর হয়ে আদালতে সওয়াল করেছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কয়েকজন আইনজীবীকে খুনের মামলায় ফাঁসানোর হুমকিও দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী রমেন রায়ের বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে কট্টর মৌলবাদীরা, দাবি করেছিলেন কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস।

এই প্রেক্ষিতে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের হয়ে আইনি লড়াই লড়তে এগিয়ে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। জানা গিয়েছে, একটি দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পান রবীন্দ্রনাথ। এর পর অস্ত্রোপচারও হয়েছিল তাঁর। চেক আপ-এর জন্য ভারতে এসেছেন তিনি। ৭৫ বছর বয়সী রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে আইনি সহায়তা দেবো। আমি মরতে ভয় পাই না। আমি শুধু একজন আইনজীবী নই, একজন মানবাধিকার কর্মীও। বাংলাদেশে এখন সকলেও ওঁর বিরুদ্ধে।’

আরো পড়ুন:- পশ্চিমবঙ্গে শুরু চাকরির মেলা। নিজে গিয়ে ইন্টারভিউ দিয়ে কাজের সুযোগ, কবে কোথায়, জেনে নিন

তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ সংযোজন, ‘শুধু বাংলাদেশের সরকার নয়, চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে ইসকনের ভিতরেও ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে মনে হয়। তিনি বাংলাদেশে অসম্ভব জনপ্রিয়। তা বাংলাদেশের ইসকনের মধ্যেও অনেকের চক্ষুশূল ছিল। তিনি হিন্দুদের অধিকার রক্ষার জন্য কথা বলেছেন। সঠিক দাবিতে আন্দোলন করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।’

তাঁর এই মন্তব্য অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারির পর ইসকনের বাংলাদেশ শাখা বলেছিল, চিন্ময়কৃষ্ণকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর কোনও কর্মকাণ্ডের দায় নেবে না সংগঠন। সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছিল বলেও দাবি করেছিল বাংলাদেশ ইসকন। যদিও এই প্রসঙ্গে রাধারমণ দাস জানিয়েছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কোনও পদে ফেরানো হবে না।

মন্তব্য করুন