Bangla News Dunia, দীনেশ :- দরজায় কড়া নাড়ছে এপার বাংলার সবচেয়ে বড় উৎসব, দুর্গা পুজো। চারদিনের উৎসবের জন্য বছরভরের প্রতীক্ষা। নাহ! চার দিন কোথায়, এখানে তো পুজো চলে ১৫ দিন! আর পিতৃপক্ষেই শুরু হয়ে যায় দুর্গার আরাধনা।
পশ্চিম বর্ধমানের গারুই গ্রামের আদি দুর্গার পুজোর আনুমানিক বয়স ৫০০ বছর। শুরু থেকেই ১৫ দিন ধরে চলে পুজো। প্রথম প্রথম এই পুজো ছিল বাড়ির পুজো। কালে কালে হয়ে উঠেছে বারোয়ারি পুজো। তবে রীতি রেওয়াজ একই আছে। প্রচলিত বিশ্বাস, ৫০০ বছর আগে, এক জিতাষ্টমীতে এই পুজো শুরু হয়। সেই ট্র্যাডিশনই এখনও চলছে। চারদিন নয়, এখানে ১৫ দিন ধরে চলে পুজো।
গারুই গ্রামে বোধন হয়ে গেল জিতাষ্টমীর পরের দিন নবমীতে। তবে মূর্তি পূজা নয়, মঙ্গলঘট প্রতিষ্ঠা করে দেবীর বোধন হয়। এই আদি দুর্গার আরাধনা থেকে শুরু করে পুজো, ইতিহাস সবকিছুরই রয়েছে বিশেষত্ব।
আসানসোলের গারুই গ্রামে, এই ১৫ দিন উৎসবের আবহ। যে যেখানেই থাকুন, পুজোর সময় এই গ্রামে তাঁরা ফিরবেনই ফিরবেন। পুজো শুরুর সময়ে অর্থাৎ ৫০০ বছর আগে পুজোর উদ্যোক্তা ছিল চট্টোপাধ্যায় ও মুখোপাধ্যায় এবং বন্দ্যোপাধ্যায় এই তিন পরিবার।
আরো পড়ুন:- বর্ষাকালে কমবে বিদ্যুৎ বিল, এই কাজগুলি করলেই হবে
সন্ধিক্ষণ থেকে বলিদান সমস্ত আচার অনুষ্ঠান আগে উদযাপিত হয় আদি দুর্গা মন্দিরে, তারপর গ্রামের বাকি দুই মন্দিরে হয়। মন্দিরে অষ্টধাতুর মূর্তি রয়েছে। যার নিত্যপূজা হয়, এছাড়াও মৃণ্ময়ী মূর্তিও রয়েছে দেবীর। পুকুর থেকে নিয়ে আসা হয় মঙ্গলঘট। স্থাপন করা হয় মন্দিরের ভিতর।
মঙ্গলঘট বসিয়ে অষ্টধাতুর মূর্তি পুজো শুরু হয় অকাল বোধনের ১১ দিন আগেই। পুজো চলে নবমী পর্যন্ত টানা ১৫ দিন।
#End