পোশাক পরা ছবিকে বানাচ্ছে ন্যুড ইমেজে, AI-ফাঁদে ঘোর বিপদে টিনএজাররা

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- স্কুলে ইতিহাসের ক্লাস করছিল ১৪ বছরের মেয়েটি। কো-এড স্কুল। হঠাৎ ছেলেদের বেঞ্চ থেকে শুরু হল ফিসফাস। মুচকি হাসাহাসি। তখনই মেয়েটির কানে এল, তার ক্লাসের বান্ধবীদের কেউ ন্যুড ছবি বানিয়ে সোশ্যাল সাইটে ছেড়ে দিয়েছে।

ছেলে মহলে সেই ছবি এসে পৌঁছতেই শুরু হয়েছে পিএনপিসি। বিপদ বুঝে মেয়েটি সেই ছবিগুলো দেখতেই চক্ষু চড়কগাছ। তারও একটি নগ্ন ছবি জ্বলজ্বল করছে।

আরও পড়ুন:– মধ্যবিত্তের টাকা জমানোর গোপন সূত্র। বিশেষজ্ঞের এই নিয়ম মেনে 1 মাস সংসার চালান, আর ম্যাজিক দেখুন

প্রথম ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠে মেয়েটি আবিষ্কার করল, তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটা নামিয়ে কাজটা করা হয়েছে। আর কাজটা করেছে আর কেউ নয়, এআই।

আমেরিকার নিউ জার্সির একটি স্কুলে সত্যিই ঘটেছে, এই ঘটনা। তাতে শোরগোল পড়ে যেতেই সামনে এসেছে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য।

যে এআই উন্নয়নের নতুন নতুন দিক খুলে দিয়েছে, সেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ছবি বিকৃত করছে। যে কোনও পোশাক পরা ছবি মর্ফ করে করে দিচ্ছে ন্যুড। দিনে দিনে বাড়ছে এই বিপদ। এর সব থেকে বড় শিকার স্কুলে পড়া কিশোর, কিশোরীরা।

টেক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অপব্যবহার এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, বিশ্বজুড়ে এর প্রভাব পড়ছে। এর জেরে কোথাও ঘটছে আত্মহত্যার ঘটনা, কোথাও অহরহ বাড়ছে ব্ল্যাকমেলিং এর ঘটনা।

নিউ জার্সির ওই ছোট্ট মেয়েটির কথাই ধরা যাক, প্রথমে সে ভয়ঙ্কর ভেঙে পড়েছিল। যদিও সেই ধাক্কা দ্রুত কাটিয়ে সে প্রতিবাদ করে বিষয়টা স্কুলকে জানায়। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় মূল অভিযুক্তর বিরুদ্ধে। এতেই থামেনি মেয়েটি। এআই-এর অপব্যবহার রুখতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি তুলেছে সে।

আরও পড়ুন:– ক্যানসারের চিকিৎসায় বাঙালি বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী আবিষ্কার, জানুন বিস্তারিত

টেক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিপদটা জেনেও খুব কিছু করা যাচ্ছে না। কেন?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে যে সাইট থেকে এই ন্যুড ছবি বানানো হচ্ছে, সেগুলির বেশির ভাগই হয় ভুয়ো, না হয় কিছুদিনের মধ্যেই সেগুলোর কোনও অস্তিত্ব থাকছে না। ফলে চাইলেও ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। আর একটা বিষয় হল, এর পেমেন্ট গেটওয়ে। অর্থাৎ ছবি ন্যুড করার জন্য এই সাইটগুলো যে চার্জ নিচ্ছে, সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেওয়া হচ্ছে ক্রিপ্টো কারেন্সিতে। ফলে এই পেমেন্টের সূত্র বোঝা যাচ্ছে না। সহজেই ব্যবসা গুটিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে সাইটগুলি।

এ ছাড়াও একটি বিষয় ভাবাচ্ছে টেক বিশেষজ্ঞদের। সাধারণ ছবি থেকে ছোটদের যে ন্যুড ছবি বানাচ্ছে এআই, সেটা চাইল্ড পর্নোগ্রাফির আওতায় পড়বে কি না। কারণ ছবি বিকৃত করলে আইনের যে যে ধারা প্রয়োগ হয়, এই ক্ষেত্রে তাতে বেশ কিছু সমস্যা আছে। এই জন্যই আমেরিকায় এই সংক্রান্ত আইন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর জন্য বড় জরিমানা করার সুপারিশ এসেছে আইনজ্ঞদের কাছ থেকে। সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলিকে অনুরোধ করা হয়েছে এমন ন্যুড ছবি সরানোর আর্জি এলে, দ্রুত যেন সেই কাজ করা হয়।

তবে এত কিছুর পরেও ক্ষতি আটকানো যাচ্ছে না। মূলত এর শিকার কিশোর কিশোরীরা। এতে তাদের এক দিকে যেমন মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হচ্ছে।

তাই টেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই যদি এই বিকৃতি করে, যত দ্রুত সম্ভব পুলিশের সাহায্য নিতে হবে। না হলে সমস্যা বাড়বে।

আরও পড়ুন:– এখনই কিনবেন না এই সব স্মার্টফোন, দিন কয়েক পরেই কমতে পারে দাম

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন