Bangla News Dunia, দীনেশ :- সালটা ছিল ২০১৬। স্টেজ ৪ ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিল ১২ বছরের মেয়েটি। ৮ বছরের ব্যবধানে শুধু ক্যানসারের বিরুদ্ধে নয়, জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ মধুরিমা বৈদ্য। প্রথম চেষ্টাতেই ডাক্তারি কোর্সে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট পাশ করেছেন ত্রিপুরার প্রত্যন্ত গ্রামের তরুণী। ৮৭ শতাংশ নম্বর পাওয়া মধুরিমা শুনিয়েছেন তাঁর জীবন যুদ্ধের গল্প। ত্রিপুরার মেয়ের কথায়, ‘তখন আমার ১২ বছর বয়স। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তাম। সেই সময় আমার ক্যানসার ধরা পড়ে। ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন আমার ক্যানসার স্টেজ ৪-এ পৌঁছে গিয়েছে।’
আরো পড়ুন :- ‘বাংলাদেশের চিঠি পেয়েছি’, জানুন হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে কী বলল কেন্দ্র ?
তিনি জানান, মুম্বইয়ে টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে প্রথমে কেমো থেরাপি এবং পরে শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হন। চিকিৎসা চলাকালীনও পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন মেধাবী ছাত্রী মধুরিমা। তিনি বলেন, ‘স্কুলে যেতে খুব ভালো লাগত। মুম্বইয়ের হাসপাতালে যখন ভর্তি হলাম বন্ধুদের কথা খুব মনে পড়ত। পড়া থেকে কিছুতেই দূরে থাকতে চাইনি। হাসপাতালের ওপিডিতেই পড়াশোনা করতাম।’
আরো পড়ুন :- পাকিস্তান থেকে জাহাজ ভর্তি পণ্য পৌঁছাল বাংলাদেশে, জানুন কী কী আমদানি করা হল ?
দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৯৬ শতাংশ এবং দ্বাদশে ৯১ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেন মধুরিমা। তখন থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখার শুরু। ৮ বছর বাদে যে স্বপ্নপূরণের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি। বন্ধু, প্রতিবেশীরা আদর করে তাঁকে ডাকছেন ‘ক্যানসার সারভাইভার এমবিবিএস’ বলে।
আরো পড়ুন :- ‘আমি যতদিন সভাপতি ছিলাম, পার্টি হু হু করে বেড়েছে’ কাকে ইঙ্গিত করে এমন বললেন দিলীপ ঘোষ ?