Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ২০০৪ সালের ২২ মে থেকে ২০১৪ সালের ২৬ মে – ১০ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদে ছিলেন মনমোহন সিং। নরেন্দ্র মোদী সাংবাদিক বৈঠক করেন না। তবে, তার আগে পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রীরা নিয়মিত ব্যবধানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেন। ২০১৪-র ৩ জানুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শেষ সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন তিনি। আর ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর ‘সেরা মুহূর্ত’ এবং ‘সবথেকে বড় আক্ষেপ’ সম্পর্কে মুখ খুলেছিলেন মনমোহন সিং।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এই বিষয়ে ভাবতে আমার সময় লাগবে। তবে অবশ্যই আমি আমেরিকার সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির কথা বলব। এই চুক্তি না হলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের প্রক্রিয়াগুলি এবং আমাদের দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অনেক উপায়ে বাধা পেত।’
আরো পড়ুন:– স্টেট ব্যাংকে নতুন করে ৬০০ টি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ চলছে! মাসিক বেতন ৪৮,০০০ টাকা, শীঘ্রই আবেদন করুন
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে মনমোহন সিং এবং তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ঘোষণা করেছিলেন অসামরিক ক্ষেত্রে মধ্যে পারমাণবিক শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি করবে ভারত ও আমেরিকা। দীর্ঘ আলোচনার পর, ২০০৮ সালের অগস্টে এই চুক্তির অনুমোদন দিয়েছিল ‘আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা’। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতকে অন্য দেশ থেকে অসামরিক কারণে পারমাণবিক প্রযুক্তি এবং জ্বালানী সংগ্রহের অনুমতি দেয় ‘নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপ’। এই চুক্তি করার ক্ষেত্রে কিন্তু মনমোহন সিংকে সনিয়া গান্ধী-সহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতার বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল। বামেরা সমর্থন প্রত্যাহার করে বেরিয়ে গিয়েছিল ইউপিএ সরকার থেকে।
আর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর সবথেকে বড় আক্ষেপ কী ছিল? মনমোহন সিং বলেছিলেন তাঁর ১০ বছরের মেয়াদকালে তিনি ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে আরও অনেক কিছু করতে পারতেন বলে মনে করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘দুঃখিত, আমি এই বিষয়টি (আক্ষেপ) নিয়ে ভাবিনি। তবে অবশ্যই আমি স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিশেষ করে শিশু ও মহিলাদের স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে আরও অনেক কিছু করতে চেয়েছিলাম। আমরা যে জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য অভিযান শুরু করেছি, তা চিত্তাকর্ষক সাফল্য অর্জন করেছে। তবে, আরও অনেক কিছু করা দরকার।’
মনমোহন সিংয়ের আমলে, বিশেষ করে ইউপিএ ২ সরকারের সময়ে সবথেকে বেশি আলোচিত বিষয় ছিল দুর্নীতি। মনমোহনের বিরুদ্ধে অনেক সময়ই দুর্নীতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই সম্পর্কে মনমোহন সিং হাসিমুখে বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, সমসাময়িক সংবাদমাধ্যম বা সংসদে বিরোধী দলগুলির থেকে ইতিহাস আমার প্রতি সদয় হবে। মন্ত্রিসভায় ঘটা সমস্ত বিষয় আমি বাইরে বলতে পারি না। আমি মনে করি পরিস্থিতি এবং জোটের রাজনীতির বাধ্যবাধকতার মধ্যে, আমি যতটা করতে পারি, করেছি।’
আরো পড়ুন:– কেন ভারতের অর্থনীতির উন্নয়নের ‘গুরুঠাকুর’ বলা হয় মনমোহন সিং-কে ? জানুন বিস্তারিত
আরো পড়ুন:– কংক্রিটের থেকেও শক্ত অংশ রয়েছে প্রতিটি মানুষের শরীরে, কোথায় জেনে নিন