Bangla News Dunia , Rajib : প্রয়াত ‘ক্যান্ডিম্যান’ খ্যাত অভিনেতা টোনি টড। গত ৬ নভেম্বর, লস অ্যাঞ্জেলসে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৬৯।
‘ক্যান্ডিম্যান’ ছবির হাড়হিম করা খুনির চরিত্রে নজর কাড়েন টোনি। অনুরাগীদের মনে গেঁথে আছে তাঁর ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন’ ফ্র্যাঞ্চাইজ়িতে অভিনয়। এর পাশাপাশি ‘স্পাইডার ম্যান ২’ ছবিতে ভেনমের চরিত্রও সাড়া ফেলে। অভিনেতার মুখপাত্র তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘ডেডলাইন’কে মৃত্যুর খবরে সিলমোহর দিয়েছেন তিনি। তবে কী কারণে টোনির মৃত্যু হয়েছে, তা জানাননি। ১৯৫৪ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে জন্মগ্রহণ করেন অভিনেতা। তাঁর বেড়ে ওঠা কানেক্টিকাটে, সেখানেই অভিনয়ের প্রতি তাঁর প্রথম প্রেম জন্মায়।
আরো পড়ুন :- বিরল ঘটনা, বরফে ঢাকল সৌদি আরবের উষ্ণ মরুভূমি! ভাইরাল ভিডিও দেখে তাজ্জব বিশ্ব
হরর ঘরানার ছবিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। বিশেষ করে ১৯৯২ সালের ‘ক্যান্ডিম্যান’ ছবিতে তাঁর মুখ্য চরিত্র, যা তাঁকে ‘নিউ ইয়র্ক সিটি হরর ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ এনে দেয়। ইনসমনিয়াকের ‘স্পাইডার ম্যান ২’-তে তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই অভিনেতার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ‘ইনসমনিয়াক গেমস’। তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে শোকপ্রকাশ করে লেখা হয়, ‘আমাদের বন্ধু টোনি টডের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ইনসমনিয়াক গেমস। মার্ভেলের ‘স্পাইডার ম্যান ২’ প্রযোজনার সময় উনি প্রবল আনন্দ ও উচ্ছ্বাস নিয়ে এসেছিলেন আমাদের স্টুডিয়োতে। আমরা ভেনম… চিরদিন।’
মঞ্চ থেকে শুরু হলেও টোনি টড পর্দায় নিজের আলাদা জায়গা তৈরি করে নিয়েছিলেন। কয়েক দশক ধরে ছড়িয়েছিল অভিনেতার কেরিয়ার। ২৪০-টিরও বেশি সিনেমা ও টেলিভিশন প্রোডাকশনে তিনি কাজ করেছেন। যার মধ্যে ‘প্লাটুন’, ‘নাইট অফ দ্য লিভিং ডেড’-এর ১৯৯০ সংস্করণ, ‘দ্য ক্রো’ উল্লেখযোগ্য। তাঁর প্রয়াণের পরে তাঁকে দেখা যাবে ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন-ব্লাডলাইনস’-এ। যা মুক্তি পেতে পারে ২০২৫ সালে।