প্রয়োজন আরও ১২ কোটির, মেয়েকে সারাবে ১৬ কোটির ইঞ্জেকশন, ঘুম নেই পরিবারের

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- আগামী ৫ মাসের মধ্যে প্রয়োজন আরও ১২ কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত মেয়ের চিকিৎসার জন্য জোগাড় হয়েছে মাত্র ৪ কোটি। প্রমাদ গুণছেন রানাঘাটের ১ বছরের শিশু অস্মিকার বাবা-মা শুভঙ্কর দাস ও লক্ষ্মী দাস। এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। তারপরেও সবটা গুছিয়ে উঠতে পারছে না অস্মিকার পরিবার। একটি বিরল রোগে আক্রান্ত অস্মিকা। তার চিকিৎসা যে নেই—এমন নয়। তবে প্রয়োজন ১৬ কোটি টাকার ইঞ্জেকশন। গায়িকা শুভমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন। রানাঘাটে বিবেক উৎসবে এসে গায়ক কৈলাস খের-সহ কলকাতা ও মুম্বইয়ের শিল্পীরা অস্মিকাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসতে ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছেন। তবু চিন্তা থেকেই গিয়েছে পরিবারের।

১ বছরের অস্মিকা রানাঘাটের স্বামী বিবেকানন্দ সরণির দাসপাড়ার বাসিন্দা শুভঙ্কর দাস ও লক্ষ্মী দাসের মেয়ে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে তার জন্ম। কিন্তু মাত্র ৪ মাসের মাথায় জানা যায়, বিরল রোগে আক্রান্ত অস্মিকা, যার বৈজ্ঞানিক নাম ‘স্পাইনাল মাসকিউলার অ্যাট্রফি’। এই রোগে শরীরের কিছু অংশের বৃদ্ধি থমকে যায়। আর পাঁচটা শিশুর মতো অস্মিকা নড়াচড়া করতে পারছে না। রোগ উপশমের জন্য ‘জোলজেন্সমা’ নামে একটি ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন, যা অত্যন্ত দামী। চিকিৎসার খরচ আনুমানিক ১৬ কোটি। শুভঙ্কর এবং লক্ষ্মী মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। মেয়ের জন্য এত টাকা কোথা থেকে পাবেন? তা ভেবে কূলকিনারা পাননি তাঁরা। মেয়েকে বাঁচাতে তাঁরা সাধারণ মানুষকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার আবেদন করেছিলেন।

আরও পড়ুন:– রায়দানের পর কী প্রতিক্রিয়া সিপিএম, বিজেপির?

অস্মিকার বাবা শুভঙ্কর দাস বলেন, ‘১ বছরের শিশুর যতটা শক্ত হওয়া প্রয়োজন আমার মেয়ে ততটা নয়। ওর হাত পায়ের জোর কমে আসছে। হাতে বেশি সময় নেই। এই অর্থ জোগাড় করতে হবে মেয়ের প্রাণ বাঁচানোর জন্য। সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষদের এগিয়ে আসতে বলব।’

একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাই অস্মিকার জন্য ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ তুলতে শুরু করে। কিন্তু সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৪ কোটি টাকা জুটেছে। অস্মিকার প্রাণ বাঁচাতে আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে আরও ১২ কোটির প্রয়োজন। কী ভাবে এই অর্থ জুটবে, তা ভেবে কূল পাচ্ছেন না দাস দম্পতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও মেয়ের প্রাণ বাঁচানোর জন্য সাহায্যের আবেদন করবেন অস্মিকার বাবা-মা।

অস্মিকার চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা সংস্থা ‘ইম্প্যাক্ট গ্রুপ’ জানিয়েছে, তাদের অ্যাকাউন্টেই সমস্ত টাকা ঢুকছে। তাদের সংস্থার সাইটে গিয়ে সকলেই জানতে পারবেন কে কত পরিমাণ অর্থ ইতিমধ্যেই দিয়েছেন। সকলের সাহায্যে পাঁচ মাসের মধ্যে জুটবে মেয়ের চিকিৎসার টাকা, আশায় দাস দম্পতি।

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন