Bangla News Dunia, দীনেশ : ‘সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি হলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।’, আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar case) শিয়ালদা কোর্টের রায়ের (Verdict) পর এই ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তিনি জানান, এই ধরনের নরপিশাচের চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত। রাজ্য সরকারের হাত থেকে মামলা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন মমতা।
২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে শিয়ালদা আদালত। সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে আজ বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন। বিচারক জানিয়েছেন, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়। তাই তাঁকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে সরকারকে নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন:– প্রয়োজন আরও ১২ কোটির, মেয়েকে সারাবে ১৬ কোটির ইঞ্জেকশন, ঘুম নেই পরিবারের
এই ঘটনার তদন্তে প্রথমেই সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশ। কিন্তু তারপর কলকাতা হাইকোর্ট আবেদনের ভিত্তিতে এই তদন্তের ভার সিবিআইকে হস্তান্তর করে। সিবিআই তদন্তে উঠে আসে সঞ্জয় রায়ই একমাত্র দোষী। আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে সিবিআই এই মামলায় গ্রেপ্তার করলেও শেষ পর্যন্ত প্রমাণ না মেলায় তাদের জামিন হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধেই চার্জশিট দেয় সিবিআই। প্রতিদিন শুনানি করে দ্রুত এই মামলায় রায় ঘোষণা করল আদালত। তবে স্বাভাবিক ভাবেই এই রায়ের পর মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই মামলার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে চলে যাওয়ায়। তিনি জানান, তদন্তের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের হাতে থাকলে অনেক দিন আগেই ফাঁসির আদেশ হয়ে যেত। ইচ্ছে করে এই মামলা রাজ্য সরকারের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:– রহস্যের জট খুলতে কাশ্মীরের গ্রামে এবার কেন্দ্রীয় দল, জানতে বিস্তারিত পড়ুন
আরও পড়ুন:– কলকাতা CNCI ইনস্টিটিউটে কর্মী নিয়োগ চলছে! কিভাবে আবেদন করবেন দেখুন বিস্তারিত