Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ফিফার আন্তর্জাতিক তালিকায় পুরুষ ফুটবল দলের মধ্যে মোট ২১০টি দল আছে। শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্তিনা। সাধারণত শীর্ষ দলগুলোর ওঠানামা চর্চায় আছে। প্রথম পাঁচে কোন দল আছে, কোন দল পয়েন্ট হারালো সেগুলো নিয়ে চর্চা থাকে। কিন্তু এই বড় দলের ভিড়েই অনেক সময় নজির তৈরি করে ছোটো দল। সেইরকমই একটি দল সান মারিনো। ফিফার তালিকায় যাদের স্থান ২১০ নম্বরে। অর্থাৎ, একদম শেষে। এই সান মারিনোর ১৯ বছর পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম ম্যাচ জিতে নজির তৈরি করেছিল। তবে সান মারিনো পেশাদার ফুটবল খেললেও তাদের অধিনায়ক মাতেও ভিতাইওলি অবশ্য পেশাদার ফুটবলার নন।
আরো পড়ুন:- চাপে পড়ে নতিস্বীকার, সব ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ইউনূসের, জানতে পড়ুন বিস্তারিত
২০০৭ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলছেন মাতেও ভিতাইওলি। আর ক্লাব ফুটবলে তিনি রয়েছেন ২০০৫ সাল থেকে। সেই সময় থেকে তিনি সান মারিনো, ইতালির বিভিন্ন ক্লাবে ফুটবল খেলেছেন। এই লম্বা সময়ে তিনি একাধিক ক্লাবে খেললেও গেম টাইম সেভাবে পাননি।
তবে পেশাদার ফুটবল খেললেও ভিতাইওলির মূল পেশা ফুটবল নয়। তিনি একজন পেশাদার গ্রাফিক্স ডিজ়াইনার। গোদা বাংলায় বলতে গেলে তাঁর সংসার চলে গ্রাফিক্স ডিজ়াইনারের কাজ করে। আর তিনি বাকি সময়টা ফুটবল খেলেন। প্রথমে তিনি চাকরি করলেও, পরের দিকে ফ্রিল্যান্সিং করা শুরু করেন গ্রাফিক্স ডিজ়াইনিংয়ে ও পাশাপাশি ম্যাচ থাকলে ফুটবল খেলেন।
সাধারণত দেখা যায়, কোনও প্লেয়ার জাতীয় দলে সুযোগ পেলে বা পেশাদার ফুটবল খেলা শুরু করলে তিনি সেটাকেই নিজের পাকাপাকি পেশা হিসেবে বেছে নেন। কিন্তু মাত্র ৩৫ হাজার জনসংখ্যার দেশ সান মারিনোয় ফুটবলকে মূল পেশা হিসেবে বেছে নেওয়াটা বিলাসিতা। তাই ভিতাইওলি ফুটবলকে নিজের মূল পেশা হিসেবে বেছে না নিয়ে গ্রাফিক্স ডিজ়াইনিংকেই বেছে নিয়েছেন নিজের পেশা হিসেবে।
আরো পড়ুন:- চুপিসারে সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়াল সরকার। ৯ লাখ সরকারি কর্মীর অ্যাকাউন্টে ঢুকবে কড়কড়ে নোট