ফের মারণ ভাইরাসের থাবা চিনে? লকডাউন আতঙ্ক বিশ্বজুড়ে

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ফিরল কোভিডের মতো আতঙ্ক। চিনে আবারও এক মারণ ভাইরাসের হানার আশঙ্কা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে জিনপিংয়ের দেশের হাসপাতালগুলিতে থিকথিকে ভিড়। রোগীদের প্রায় সকলেই হিউম্যান মেটাপনিউমোনিয়াতে (HMPV) আক্রান্ত। বেড উপচে পড়ছে। আতঙ্ক গ্রাস করেছে সর্বত্র। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা নিউস দুনিয়া অনলাইন। তবে কি ২০২০ সালের মতো ফের তথ্যগোপন করছে চিন? সিঁদূরে মেঘ দেখছে গোটা বিশ্ব।

চিনের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়নি। যদিও সংবাদসংস্থা রয়টার্স চিনের রোগ প্রতিরোধক সংস্থাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, চিনে নিউমোনিয়া রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে। এর উৎস অজানা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রুটিন নজরদারি।

আরও পড়ুন:– জানুয়ারি মাসে অতিরিক্ত রেশন দেওয়ার ঘোষণা। কোন রেশন কার্ডে কত কিলো মাল পাবেন? দেখে নিন

উল্লেখ্য, শীতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে বলেই রাতারাতি হাসপাতালগুলি উপচে পড়ছে বলে মনে করছে শি জিনপিং প্রশাসন। ফলে রুটিন নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োগুলি নিয়ে একাধিক জল্পনা রটে গিয়েছে। নেটিজ়েনদের একাংশের দাবি, চিনে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, HMVP, মাইক্রোপ্লাজ়মা নিউমোনিয়া এবং কোভিড ১৯ নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। যার জেরে ঠাসাঠাসি অবস্থা হাসপাতালগুলির। একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করা হয়েছে, রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মূলত শিশু এবং বয়স্করা। তবে এই দাবিগুলি নিয়ে কোনও তথ্যপ্রমাণ এখনও মেলেনি।

অনেকে আবার মনে করছেন, এই ভিডিয়োগুলি ২০২০ সালে কোভিড ছড়িয়ে পড়ার সময়কার। যেগুলি বর্তমান সময়ের বলে দাবি করা হচ্ছে। ওই বছরের গোড়া থেকেই বিশ্বে হুহু করে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। একাধিক জায়গা থেকে তথ্য মিলেছিল, কোভিডের আঁতুড়ঘর চিনের উহান প্রদেশ। সেখানকার ল্যাবে এই ভাইরাসের জন্ম বলেও দাবি করা হয়েছিল। যদিও সেটিরও কোনও সঠিক প্রমাণ মেলেনি। নয়া ভিডিয়োগুলি দেখে নেটিজ়েনদের একাংশের দাবি, এ বারও কোনও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে চিনে, যা চেপে যাচ্ছে জিনপিং সরকার। যদিও ওই অতিমারির উৎস সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যায়নি। সবটাই জল্পনার স্তরে।

প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোভিডের সঙ্গে HMVP-র অনেকক্ষেত্রেই মিল রয়েছে। এটিও হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। রোগীর ব্যবহৃত জিনিসের সংস্পর্শে এলেও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মূলত জ্বর, সর্দি-কাশি, নাকবন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গগুলি দেখা যায়। যা সাধারণ মানুষের মধ্যে কোভিডের আতঙ্ক ফেরাচ্ছে।

আরও পড়ুন:– দেশের সেরা পাঁচটি Engineering College এর তালিকা। এখানে পড়াশোনা করে দুর্দান্ত কেরিয়ার তৈরি করা যায়

আরও পড়ুন:– উদ্ধার 967 শিশু ! ‘নানহে ফারিস্তে’ অভিযানে বিশেষ সাফল্য পূর্ব রেলের – NANHE FARISTEY

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন