Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- রাজস্থানের কোটপুতলিতে এখনও উদ্ধারকারীরা আশা জিইয়ে রেখেছেন। গত সাত দিন ধরে ৭০০ ফুট গভীর কুয়োতে পড়ে রয়েছে তিন বছরের চেতনা। এখনও চলছে অভিযান। একটি দড়ির মধ্যে লোহার রিং জুড়ে প্রথমে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছিল। কিন্তু সেই পদ্ধতি ব্যর্থ হয়েছে। গত বুধবার ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল একটি পাইলিং মেশিন। ৭০০ ফুট গভীর কুয়োর পাশে একটি সমান্তরাল গর্ত খোঁড়া হয়েছে। তবে শুক্রবার থেকে লাগাতার ভারী বৃষ্টি উদ্ধার কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নাগাড়ে চেষ্টা চালানো সত্ত্বেও চেতনার কাছে খাবার কিংবা জল পৌঁছে দিতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। ফলে তার বেঁচে থাকার আশা ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে ডাক্তারদের টিম। আনা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সও।
আরো পড়ুন:– 3 বছর বয়সে মুখস্থ 100 দেশের নাম, বিরল প্রতিভাকে স্বীকৃতি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বুক অফ রেকর্ডসের
কাঁদতে কাঁদতে চেতনার মা ধোলি দেবী প্রশাসনের কাছে আর্জি রাখেন, ‘দয়া করে আমার মেয়েকে বের করে আনুন।’ চেতনার কাকা শুভ্রম বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও জবাব মেলেনি। ওরা জানিয়েছে, জেলাশাসক ম্যাডাম বিশ্রাম নিচ্ছেন। পরে কথা বলবেন।’
শনিবার সকালের মধ্যে পাইলিং মেশিন দিয়ে খোঁড়া সমান্তরাল গর্তটিতে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করতে সক্ষম হয়েছেন উদ্ধারকারীরা। এ বার ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে আরও একটি হরিইজ়ন্টাল আট ফুট গর্ত খুঁড়বেন তাঁরা। অপরাশনের জন্য গর্তের মধ্যে আলো, পাখা, অক্সিজ়েনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। বিকল্প উদ্ধারকাজের পরিকল্পনা করতে সময় নেওয়ার ক্ষোভে ফেটে পড়েছে চেতনার পরিবার।
গত দু’সপ্তাহ আগে রাজস্থানের দৌসা জেলায় এভাবেই কুয়োতে পড়ে গিয়েছিল পাঁচ বছরের একটি শিশু। ৫৫ ঘণ্টার উদ্ধারকাজ চালিয়ে ছেলেটিকে বের করে আনা হয়। যদিও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
আরো পড়ুন:– PAN 2.0 এবং PAN Card এর মধ্যে আসল পার্থক্য কোথায়? 90% মানুষ জানেন না! বিপদে পড়ার আগে জেনে নিন
আরো পড়ুন:– মহারাষ্ট্র ATS-এর হাতে পাকড়াও ১৩ বাংলাদেশি, কেন ভারতে ঢুকেছিল তারা? জেনে নিন