বাংলাদেশের বাসিন্দাদের উপর বিপুল ট্যাক্স চাপালেন ইউনূস, বিপাকে সাধারণ মানুষ, বিস্তারিত জানুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন সময় ঘরে-বাইরে তিনি সমালোচিত হয়েছেন।  হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনীতির হাল সামলাতে কি হিমশিম খেতে হচ্ছে ইউনূসকে? বৃহস্পতিবার রাতে নতুন করে দুটি নির্দেশিকা জারি করেছে ইউনূস সরকার। যেখানে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের মাঝপথে এসে হোটেল-রেস্তোরাঁ, ইন্টারনেট, ওষুধ-সহ শতাধিক পণ্য ও সেবার উপরে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। ফলে ইন্টারনেট আরও দামী হতে পারে। সঙ্গে পোশাক কিনতে গেলেও বাংলাদেশের আম আদমির পকেট থেকে খসবে অতিরিক্ত টাকা।

এত দিন পোশাক তৈরির দোকান বা টেইলারিং শপে ভ্যাটের হার ছিল ১০ শতাংশ। ইউনূস জমানাতে তা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ শতাংশ। ফলে বাংলাদেশে ২০০০ টাকার পোশাক প্রস্তুতের জন্য টেলার্সদের ৩০০ টাকা ভ্যাট দিতে হবে। যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ছিল ২০০ টাকা। অর্থাৎ খরচ বেড়েছে ১০০ টাকা। অনেকে ভাবতে পারেন টেলারিং বা দরজির দোকান ছেড়ে রেডিমেট পোশাক কিনলে হয়তো টাকা সাশ্রয় হবে। কিন্তু সেখানেও রয়েছে ভ্যাটের কোপ। ব্র্যান্ডেড হোক বা নন-ব্র্যান্ডেড  সমস্ত ধরনের পোশাক তৈরির জন্য ভ্যাট দ্বিগুণ করে দিয়েছে ইউনূস সরকার। আগে এক্ষেত্রে ভ্যাট ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। এখন তা ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ পোশাক কেনা হোক বা তৈরি করা, সব ক্ষেত্রেই হাত পুড়বে মধ্যবিত্তের।

দোরগোড়ায় ইদ। তার আগে পোশাকের উপর ইউনূস সরকারের ভ্যাট বাড়ানোয় নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের বিস্তর বিপাকে পড়তে হতে পারে।

আরও পড়ুন:– QR কোড ফেলতে পারে প্রতারণার খপ্পরে, সাবধান থাকতে কি করবেন? জেনে রাখুন

শুধু পোশাক নয়, ওষুধের ক্ষেত্রেও বাড়বে দাম। আম, কমলালেবু, আঙুর,আপেল, সাবান, সিগারেটের ক্ষেত্রেও পণ্যে সম্পূরক শুল্ক ৫ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে ইউনূস সরকার। সিগারেট বাদ দিলে অন্যান্য জিনিসগুলি একান্তভাবে নিত্য প্রয়োজনীয়। এই ঘোষণার পরেই রীতিমতো মাথায় হাত পড়েছে সেই দেশের সাধারণ মানুষের। অর্থাৎ ‘জ দরদী’ ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে ধরার চেষ্টা করলেও ইউনূসের এই সিদ্ধান্ত যে বাংলাদেশের বহু মানুষের নাভিঃশ্বাস তুলবে, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। যদিও একটি অংশ মনে করছেন, অর্থনীতিবিদ হিসেবে তিনি যা করছেন, তাতে আখেরে দেশই খাদের ধার থেকে ঘুরে দাঁড়াবে।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার জমানায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার (GDP) ক্রমণ ঊর্ধ্বমুখীই ছিল। ২০০৮ সালে বাংলাদেশে দারিদ্রতার হার ছিল ১২ শতাংশ। তা হাসিনার জমানাতে কমে ২০২২-এ হয়েছিল ৫ শতাংশ।

ঘরেই বিক্ষোভের মুখে পড়ে গত বছর আগস্ট মাসে বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। তারপর থেকেই ক্ষমতায় ইউনূস। কিন্তু যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ইউনূস, তা কি তিনি রাখতে পারছেন? উঠছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুন:– বুদ্ধি কম থাকলে কি কেউ মা হতে পারবে না? কেন এমন প্রশ্ন তুলল বম্বে হাইকোর্ট ?

আরও পড়ুন:– ডিজিটাল অ্যারেস্টের ভয় দেখিয়ে আত্মসাৎ 100 কোটি, জানতে বিস্তারিত পড়ুন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন