বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে দাবি পূরণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, জানুন বিস্তারিত

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Updated on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতা থেকে সাতটি কলেজকে বার করে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি জানিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। বিকালের মধ্যেই তাদের দাবি মেনে নিতে হবে বলে তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তাঁদের দেওয়া ‘ডেডলাইনের’ মধ্যেই পিছু হঠলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই সাতটি কলেজ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ‘সম্মানজনক পৃথকীকরণ (honourable separation) হচ্ছে কলেজগুলির। এই কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।

রবিবার রাতভর খণ্ডযুদ্ধ চলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ৭টি কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে। তাতে অনেকেই আহত হন। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ওই কলেজগুলির এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ক্লাস এবং পরীক্ষা সোমবার বাতিল করা হয়। এই দিনই ওই কলেজের পড়ুয়ারা সাতটি কলেজকে নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করা-সহ সাতটি দাবি জানায়। চার ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি মেনে নিতে হবে বলেও জানিয়েছিলেন ওই পড়ুয়ারা। বিকাল ৪টার মধ্যেই তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে বড় ধরনের আন্দোলন শুরু করার হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা।

আরও পড়ুন:– বদলে যাচ্ছে DA-DR হিসেবের সূত্র-পদ্ধতি! কতটা বাড়বে মাইনে-পেনশন? দেখে নিন

তারপরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে সংঘর্ষের পরে সোমবার সাতটি কলেজের অধ্যক্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি একটি বৈঠক করেন। ওই সাতটি কলেজ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। ছাত্রদের হুমকি দেওয়ার পরেই এ দিন সাড়ে ১২টার সময় ওই জরুরী বৈঠক হয়। সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের এই দাবি মেনে নেওয়া হয়।

জানা গিয়েছে, ওই কলেজগুলির পড়ুয়াদের দাবি মেনে সেগুলিকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই বৈঠকে। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই ওই কলেজগুলি আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে না। ওই কলেজগুলিতে আসন সংখ্যা এবং ফি কেমন হবে সেটা ঠিক করবে শিক্ষা মন্ত্রক কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি। সাংবাদিক সম্মেলন করে বৈঠকে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের কথা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

উল্লেখ্য, রবিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। তাতে আহত হন প্রায় ৪০ জন। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করতে হয় পুলিশকে। এ দিকে, তাদের উপর হামলাকারী পুলিশকর্মীদের বিচারের দাবিও জানান ওই পড়ুয়ারা। এই ঘটনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে বলেও দাবি জানিয়েছিলেন ওই পড়ুয়ারা।

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন