Bangla News Dunia, দীনেশ :- ম্যারাথন সফরে মঙ্গলবার আমেরিকা (US) রওনা দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S. Jaishankar)। দিনকয়েক বাদেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উত্তরসূরি হিসাবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। সেই পালাবদলের ঠিক আগে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর ৬ দিনের মার্কিন সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ওয়াশিংটনে বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন সহ একাধিক দপ্তরের সচিব ও শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন জয়শংকর। আলাদাভাবে বৈঠক করবেন আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত এবং কনসাল জেনারেলদের সঙ্গে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও হবু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন তিনি। কূটনৈতিক সূত্রে খবর, জয়শংকরের চলতি সফরে গুরুত্ব পাবে বাংলাদেশ ও কানাডা ইস্যু। সোমবার ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে প্রত্যাবর্তনের অনুরোধ জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করলেও প্রত্যর্পণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। মঙ্গলবার ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান।
আরো পড়ুন :- ‘বাংলাদেশের চিঠি পেয়েছি’, জানুন হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে কী বলল কেন্দ্র ?
ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, আমেরিকায় ক্ষমতার হাতবদল হলেও সেদেশের ভারত নীতিতে গুরুতর বদল হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। একইভাবে ভারতের মার্কিন নীতিও মোটের ওপর স্থিতিশীল। ফলে মূলগতভাবে ভারত ইস্যুতে বাইডেন সরকারের নীতি অনুসরণ করার কথা ট্রাম্প প্রশাসনের। তবে বাংলাদেশ নিয়ে বাইডেন ও ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গী আলাদা। প্রেসিডেন্ট ভোটের আগে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিগ্রহ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন অবস্থান কঠোর হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত সহযোগী হিসাবে ভারতের অবস্থান আমেরিকার কাছে গুরুত্ব পাবে। সূত্রের খবর, পরবর্তী মার্কিন সরকারের প্রস্তাবিত কর্তাদের সঙ্গেও কথা হতে পারে জয়শংকরের। পাশাপাশি কানাডা নিয়েও আমেরিকার কাছে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করবেন তিনি।
আরো পড়ুন :- পাকিস্তান থেকে জাহাজ ভর্তি পণ্য পৌঁছাল বাংলাদেশে, জানুন কী কী আমদানি করা হল ?
সোমবার উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তাদের সঙ্গে পকিস্তান, গ্রিস ও ইংল্যান্ডের যোগাযোগের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। এদিকে কানাডায় ক্রমাগত সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে ভারত বিরোধী খালিস্তানিরা। তাদের প্রকাশ্যে মদত দিচ্ছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। যার জেরে ভারত-কানাডা সম্পর্ক খাদের কিনারে পৌঁছে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী আমেরিকায় জয়শংকরের উপস্থিতির দিকে নজর রাখছে কানাডাও।
আরো পড়ুন :- ‘আমি যতদিন সভাপতি ছিলাম, পার্টি হু হু করে বেড়েছে’ কাকে ইঙ্গিত করে এমন বললেন দিলীপ ঘোষ ?