বাংলাদেশ সরকারের মনে ভয় ধরিয়ে দেওয়া চিন্ময়কৃষ্ণ দাস কে?

By Bangla News Dunia Rajib

Published on:

kllku

Bangla News Dunia , Rajib : মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই বাংলাদেশের হিন্দুদের মুখ হয়ে উঠেছেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। তাঁকেই করা হয়েছিল বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে চিন্ময়কৃষ্ণকে। তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হিন্দুরা।

চট্টগ্রামের পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ ছিলেন ইসকনের এই সন্ন্যাসী। সেখানে তাঁর অনুগামী থাকলেও বাইরের তো বটেই বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই তাঁর নাম জানতেন না। কিন্তু হাসিনার সরকারের পতনের পরে, মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই সবাই তাঁর নাম জানতে পারে।

ইউনূস সরকার গঠনের পর থেকেই বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বেড়েছে বলে অভিযোগ। এই অত্যাচারে প্রতিবাদ জানিয়ে করা সমাবেশগুলিতে হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে সোচ্চার হয়ে ওঠেন চিন্ময়কৃষ্ণ। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের হিন্দুদের নেতা হয়ে ওঠেন তিনি।

বাংলাদেশের হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির দাবি, সেই সমাবেশেগুলিতে প্রচুর মানুষ যোগদান করতেন। তাঁরা আসতেন মূলত চিন্ময়কৃষ্ণর বক্তব্য শুনতে। এটাই সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের হৃদয়ে ভয় ধরিয়েছিল। এই কারণেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার মিথ্যা মামলায় এবং চক্রান্ত করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করা-সহ আট দফা দাবিতে বাংলাদেশ জুড়ে সমাবেশ করছিল হিন্দু সংগঠনগুলি। সেই সমাবেশগুলিতে হাজির থেকে চিন্ময়কৃষ্ণ নিজেদের দাবিগুলি তুলে ধরছিলেন। সংখ্যালঘুদের দমিয়ে রাখতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দাবি করেছেন সেখানের বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের নেতারা।

কিন্তু কে এই চিন্ময়কৃষ্ণ? জানা গিয়েছে, ৩৯ বছর বয়সী চিন্ময়কৃষ্ণর আসল নাম চিন্ময়কুমার ধর। তাঁর জীবন সম্পর্কে বেশি কিছু জানা যায়নি। তবে, চট্টগ্রাম অঞ্চলের সন্ন্যাসীরা জানিয়েছেন, চিন্ময়ের জন্ম চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকার করিয়ানগরে। ১৯৮৫ সালের মে মাসে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

শৈশবকাল থেকেই ধর্মীয় পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেছেন তিনি। মাত্র ১২ বছর বয়সে দীক্ষা নিয়ে তিনি ইসকনের একজন ব্রহ্মচারী হয়েছিলেন। পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ হয়ে ওঠেন তিনি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের হিন্দু, বিশেষ করে বৈষ্ণবদের কাছে পুন্ডরীক ধাম একটি পবিত্র ধর্মীয় স্থান।

সকলের কাছে তিনি পরিচিত চিন্ময় প্রভু নামে। তাঁকেই বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র করা হয়। সেখানকার হিন্দু সংগঠনের নেতারা জানান, হিন্দুদের উপর অত্যাচার করে যখন তাঁদের চুপ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে তখনই সোচ্চার হয়েছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ। তাঁকেও চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এই কারণেই তিনি টার্গেট হয়েছিলেন।

Bangla News Dunia Rajib

মন্তব্য করুন