Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- চলতি দশকের মধ্যে বাংলায় বিনিয়োগ দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানির। বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের অষ্টম বছরে এসে বাংলায় বিনিয়োগের একাধিক ঘোষণা করলেন রিলায়েন্স কর্তা। একই সঙ্গে বাংলা ছেড়ে চলে যাওয়া দক্ষ, শিক্ষিত কর্মীদের ঘরে ফিরিয়ে আনার আশা নিয়ে নয়া প্রজেক্ট শুরুর কথাও বললেন মুকেশ আম্বানি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে অষ্টম BGBS-এও হাজির মুকেশ আম্বানি। দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্পপতির সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক শুধু ব্যবসায়িক নয়, বরং আবেগের। সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকেশ আম্বানি এ দিন বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানে বাংলা, মমতা দিদি মানে হৃদয় থেকে বাণিজ্য। মমতা দিদি দেশের অন্যতম দক্ষ প্রশাসক। তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বে ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলায় লাল গালিচা পাতা রয়েছে।’ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আবেদনের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলার জন্য এ দিন মুকেশ আম্বানির ঝুলিতে ছিল একাধিক ঘোষণা। তিনি জানালেন, গত এক দশকে ২ হাজার কোটি টাকা থেকে বাংলায় রিলায়েন্সের বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। আগামী দশকে তা আরও দ্বিগুণ হবে ও তৈরি হবে আরও এক লাখ চাকরির সুযোগ।
বাংলার হস্তশিল্প ও বাংলার শাড়িকে বিশ্বের আরও কাছে পৌঁছে দিতে নয়া প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা রিলায়েন্স কর্ণধারের। তিনি জানান, শীঘ্রই লন্ডন, নিউইয়র্ক, প্যারিসে ‘স্বদেশ’ স্টোর খুলতে চলেছে রিলায়েন্স। সেখানে বাংলার জামদানি, বালুচরি, তাঁত, কাঁথা শাড়ি, মসলিন, বিষ্ণুপুরী সিল্ক, তসর সিল্ক,বিষ্ণুপুরী সিল্ক, তসর সিল্ক, মুর্শিদাবাদ সিল্ক এবং জুট ও খাদির পণ্য রাখা হবে। FMGC সেক্টরে শীঘ্রই স্টেক বাড়াতে চলেছে রিলায়েন্স। তাঁরই ধাপ হিসেবে বাংলার বেশ কিছু খাদ্যপণ্য সংস্থার সঙ্গে পার্টনারশিপও করছে মুকেশ আম্বানির সংস্থা। BGBS-এর মঞ্চ থেকে তিনি জানালেন, সেই সমস্ত কোম্পানির প্রোডাক্ট পাওয়া যাবে বিদেশের মাটিতে রিলায়েন্স ‘স্বদেশ’ স্টোরে।
বাংলার জন্য জিও-কে নিয়েও বড় পরিকল্পনা রয়েছে মুকেশ আম্বানির। তিনি বলেন, ‘মমতা দিদি জিও-এর জন্য লাকি। ২০১৬ সালে বাংলার মাটি থেকেই জিও-এর বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু হয়েছিল। প্রথম কর্মাশিয়াল হাব ছিল কলকাতায়। আজ জিও শুধু ভারতের ১ নম্বর ডিজিটাল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা নয়, পৃথিবীর এক নম্বর সংস্থা। কলকাতার প্রায় প্রতিটি বাসিন্দা জিও-এর পরিষেবা ব্যবহার করেন।’
কলকাতায় জিও-এর এআই ডেটা সেন্টার তৈরির কথাও ঘোষণা করেন রিলায়েন্স কর্তা। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উৎকর্ষ মেধার জায়গা বাংলা। এয়ার ফাইবার, ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে আরও আধুনিক হয়ে উঠবে এই রাজ্য। আমার আশা, এই পরিকাঠামো বাংলা ছেড়ে যাওয়া দক্ষ, প্রতিভাদের ফের নিজের মাটিতেই ফিরিয়ে আনবে। বাংলায় তৈরি হবে আরও কাজের সুযোগ।’ দিঘায় বাংলার প্রথম কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরির কথাও ঘোষণা করেন মুকেশ।
এ ছাড়াও রিলায়েন্স রিটেল স্টোরের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন মুকেশ আম্বানি। তিনি বলেন, বাংলায় ১৩০০ থেকে আগামী দিনে রিলায়েন্স রিটেল-এর সংখ্যা বেড়ে হবে ১৭ হাজার। এতে নিউ কমার্স, এক্সপ্রেস ডেলিভারি পরিষেবায় খুচরো ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।
BGBS-এর মঞ্চ থেকে মুকেশ আম্বানি বলেন, বাংলায় বিনিয়োগের এটাই আদর্শ সময়। বাংলার সম্পদ বাংলার মানুষ। তাঁর সংস্থা রিলায়েন্স-কে বাংলার বিশ্বস্ত বন্ধু বলেও ব্যাখ্যা করেন সংস্থার কর্ণধার।
আরও পড়ুন:- ADHD রোগে কমতে পারে আয়ুও, বলছে গবেষণা, জানুন বিস্তারিত
আরও পড়ুন:- BHEL সংস্থায় নতুন করে প্রচুর কর্মী নিয়োগ চলছে! আবেদন পদ্ধতি সহ বিস্তারিত দেখেনিন