Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট। তার আগে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে অক্সিজেনের জোগান দিল উপদেষ্টা সংস্থা গ্র্যান্ট থর্নটনের বাজেট পূর্ববর্তী এক সমীক্ষা। যেখানে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি নিয়ে তাঁরা আশাবাদী বলে জানিয়েছেন দেশের সিংহভাগ শিল্প ব্যক্তিত্ব। প্রযুক্তির প্রসার এবং ভারতে ব্যবসা করার প্রক্রিয়া সরল করার লক্ষ্যে কেন্দ্রের বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপের কারণে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬-৬.৯ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
সমীক্ষায় দেশের বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রের ১৫৫-র বেশি শিল্পপতির কাছে ভারতের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের কী আশা জানতে চাওয়া হলে অধিকাংশই আশার কথা শুনিয়েছেন।
রিপোর্টে গ্র্যান্ট থর্নটন জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬-৬.৯ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে বেশির ভাগ উত্তরদাতা জানিয়েছেন। ২২ শতাংশের অনুমান বৃদ্ধির হার ৭-৭.৯ শতাংশের মধ্যে থাকবে।’ দেশের অর্থনীতি নিয়ে শিল্পমহলের এই আস্থা নির্মলাকে বাজেট পেশ করার সময় আলাদা শক্তি দেবে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
শিল্পপতিদের জবাব, তাঁদের প্রত্যাশা, বৃদ্ধির কারণ এবং অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কোন ক্ষেত্রের সংস্কার প্রয়োজন তা নথিবদ্ধ করা হয়েছে এই সমীক্ষায়। যেখান থেকে বাজেটে শিল্পমহলের প্রত্যাশা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়।
প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া সহজ করতে বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ আগামী অর্থবছরে ভারতের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করবে বলেই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের আশা।
আর্থিক নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হলে চলতি বছরের বাজেট আর্থিক বৃদ্ধির অনুঘটকের কাজ করতে পারে বলেই তাঁদের মত। অর্থনীতিতে সাম্য এবং দক্ষতা আনতে কেন্দ্রের নীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে শিল্পমহলের দাবি।
বিশ্বের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং দোলাচলে পড়া ঘরোয়া অর্থনীতির আবহে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি, শনিবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী।
ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গতি-প্রকৃতি নিয়ে ইতিমধ্যেই তাদের পূর্বাভাস বদলেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাঙ্ক, রেটিং সংস্থাগুলি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ থাকবে বলে তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার। অন্যদিকে, ২০২৫ ক্যালেন্ডার বছরের জন্য অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার নিয়ে তাদের পূর্বাভাস ৬.৬ শতাংশে অপরিবর্তিত রেখেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
যদিও, বিশ্বব্যাঙ্ক এবং মুডিজ় চলতি অর্থবছরের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস আগের থেকে কমিয়ে যথাক্রমে ৬.৫ শতাংশ এবং ৭ শতাংশ করেছে।
রিপোর্টে গ্র্যান্ট থর্নটন জানিয়েছে, সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮৪ শতাংশ উত্তরদাতা স্বাস্থ্যবিমার উপর জিএসটি কমানোর পক্ষে সায় দিয়েছেন। ৬৮ শতাংশ আবার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পসংস্থাগুলিকে বেশি করে ঋণ দেওয়া এবং ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মাধ্যমে আর্থিক সংহতিকরণের উপর জোর দেওয়া হবে বলে মনে করেন। রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট খাতে নতুন কর ছাড়ের সুবিধা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন ১৩ শতাংশ উত্তরদাতা।
ব্যাঙ্ক, শেয়ারবাজার এবং বিমা নিয়ামকদের মধ্যে সমন্বয়ের দাবিও তোলা হয়েছে সমীক্ষায়। অন্যদিকে, ব্লকচেন ও এআই উদ্ভাবনার জন্য মূলধন সহজলভ্য করা এবং করছাড়ের দাবি তুলেছে ফিনটেক সংস্থাগুলি।
আরও পড়ুন:– পুলিশ কনস্টেবলের সম্পত্তি 100 কোটি ! পুলিশি তদন্তে কি জানা গেলো ?