Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী’। সম্পত্তির হিসেব তো বটেই, বাবার দেহের ভাগ নিতেও কড়ায় গণ্ডায় হিসেব! কে করবে বাবার শেষকৃত্য? সেই প্রশ্নের মীমাংসা করতে গিয়ে বাবার মৃতদেহের অর্ধেক কেটে আলাদা আলাদাভাবে সৎকার করার দাবি ছেলের। এমন আজব ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের লিধোরতাল গ্রামে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শেষকৃত্যের অধিকার নিয়ে লড়াই এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, বাবার দেহ কেটে দু-আধখানা করার প্রস্তাব দেন ব্যক্তির বড় ছেলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত ময়দানে নামতে হয় পুলিশকে।
ম্যাপ অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশের টিকামগড় জেলা সদর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে লিধোরতাল গ্রাম। জানা গিয়েছে, সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারা ও তার দখল নিয়ে বহুদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল এই গ্রামের বাসিন্দা দেশরাজ সিং এবং তাঁর দাদা কিসান সিংয়ের মধ্যে। দুই ভাইয়ের তিক্ত সম্পর্কের কারণেই গ্রামের বাইরে আলাদা বাড়িতে থাকতেন কিসান। তবে ভাইয়ে ভাইয়ে এই বচসা চরম আকার নেয় পিতা ধ্যানী সিং ঘোষের মৃত্যুর পর। রবিবার বয়সজনিত কারণে দীর্ঘ রোগভোগের পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮৫ ঊর্ধ্ব ধ্যানী সিং। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়েই ভিটেয় ফিরে আসেন বড় ছেলে কিসান। এরপরই বাবার শেষকৃত্য নিয়ে প্রবল ঝগড়া বাঁধে দুই ভাইয়ের মধ্যে।
ছোট ভাই দেশরাজ দাবি করেন, যেহেতু শেষ দিন পর্যন্ত তিনি বাবার কাছে ছিলেন, তাই প্রয়াত ধ্যানী সিংয়ের শেষ ইচ্ছা ছিল ছোট ছেলেই তাঁর মুখাগ্নি করুক। কিন্তু, সে কথা মানতে চাননি কিসান। তিনি দাবি করেন, বড় ছেলে হওয়ার দরুণ শেষকৃত্যের অধিকার তাঁরই। বাবার মৃতদেহের সামনেই রীতিমতো তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে দু’জনে। কেউই কারও দাবি থেকে সরতে নারাজ। একসময় বড় ছেলে কিসান দাবি করে বসেন, বাবার মৃতদেহ অর্ধেক করে কেটে দুই ভাইয়ের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হোক। এই কথা শুনে সাংঘাতিক ক্ষেপে দাদার উপর চড়াও হন দেশরাজ।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গ্রামবাসীরাই খবর দেন পুলিশে। খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছন জাটরা থানার অফিসাররা। তাদের হস্তক্ষেপেই নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ঘটনার সময় মদ্যপ ছিলেন কিসান। পুলিশ কর্মীরাই তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করলে শুরু হয় শেষকৃত্যের কাজ। শেষ পর্যন্ত ছোট ছেলে দেশরাজই সমস্ত নিয়ম মেনে বাবার দেহ সৎকার করেন।
আরও পড়ুন:– আরও বড় বিপর্যয়ের অপেক্ষায় কলকাতা? জানতে বিস্তারিত পড়ুন
আরও পড়ুন:– কোনও অনুশোচনা নেই, চুম্বন বিতর্কে আর কী বললেন উদিত নারায়ণ?