Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বাবার মারে মৃত্যু একরত্তির, লুকিয়ে দাহ করার আগেই চিতা থেকে দেহ উদ্ধার পুলিশেরএক কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ফোন এসেছিল পুলিশের কাছে। দ্রুত তদন্তে নামে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত আগুন জ্বালানোর কয়েক মুহূর্ত আগে চিতা থেকে তুলে আনা হয় ওই কিশোরের দেহ। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, খুনই হয়েছে ওই বালক। তদন্তে নেমে পুলিশের সামনে এসেছে মর্মান্তিক ঘটনা। পড়াশোনা না করায় রাগের চোটে নয় বছরের ছেলেকে বেধড়ক মেরেছিল বাবা। তার জেরেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল তার। ঘটনাটি পুনের একটি গ্রামের।
আরও পড়ুন:– GPay-র অটোপে ফিচার কী ভাবে বন্ধ করবেন? জেনে রাখুন
মারধরের ঘটনাটি ঘটেছিল মঙ্গলবার। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুনে (গ্রামীণ) এলাকার এসপি পঙ্কজ দেশমুখ জানিয়েছেন, বড়াগাঁও নিম্বালকার থানায় একটি FIR দায়ের করা হয়েছে। মৃতের নাম, পীযূষ বিজয় ভান্ডালকর। অভিযুক্ত বাবা বিজয় গণেশ ভান্ডালকার। নিহত বালকের বাবা, কাকু এবং ঠাকুমাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, বিজয় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে পিয়ন পদে চাকরি করেন। বেশ কয়েক বছর আগে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ছেলে পীযূষ বাবার বাড়িতেই থাকত। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ পীযূষ বাড়িতে ছিল। পড়াশোনা না করার জন্য তার উপর চেঁচিয়েছিল বিজয়। সেই সময়েই মাত্রাছাড়া রাগের চোটে পীযূষের মাথা ধরে দেওয়ালে ঠুকে দেয় বিজয়, গলাও টিপে ধরে। পুলিশ জানিয়েছে, এরপরেই সম্ভবত সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে পীযূষ। ওই অবস্থায় তাকে নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় বিজয় এবং পরিবারের বাকিরা। ওই হাসপাতালে চিকিৎসকেরা জানান পীযূষ মারা গিয়েছে, দ্রুত সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু পরিবার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। তার বদলে গ্রামবাসীদের জানানো হয়, হঠাৎ করেই অজ্ঞান হয়ে মারা গিয়েছে পীযূষ। কিন্তু কোনওভাবে বিজয়দের ব্যবহারে অসঙ্গতি পেয়েছিলেন স্থানীয়রা। তাঁদের মধ্যে কেউ পুলিশে খবর দেয়। সেই খবর শুনে পুলিশ আসার পরেই প্রকাশ্যে আসে অপরাধের ঘটনাটি।
আরও পড়ুন:– দিল্লি দখলে BJP-র ভরসা মমতার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, বিস্তারিত জানতে এক ক্লিকে পড়ে নিন
আরও পড়ুন:– ইন্টারভিউর মাধ্যমে কলকাতা ESIC তে কর্মী নিয়োগ চলছে! আবেদন পদ্ধতি সহ বিস্তারিত দেখেনিন