Bangla News Dunia , পল্লব : প্রিমিয়াম সুপার সভাপতি’। বিজেপি শিবিরের অন্দরে অলিখিত ভাবে সৃষ্টি হলো দু’টি নতুন পদ। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দিতে আসা প্রতিনিধিরা আড়ালে আবডালে যাকে বলছেন ‘প্রিমিয়াম সুপার সভাপতি’। প্রিমিয়াম সভাপতি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সুপার সভাপতি হলেন অমিত শাহ, আর সভাপতি হলেন জে পি নাড্ডা। খাতায়-কলমে নাড্ডা সভাপতি হলেও বকলমে দলের সংগঠনের রাশ হাতে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরো পড়ুন :- বাংলায় ৭৩৪ কোটির বিনিয়োগ মোদী সরকারের
অতীতে অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সভাপতি মনোনয়নে এভাবে প্রভাব খাটাননি। এমনকী তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এলকে আডবাণী মতামত দিলেও প্রভাব খাটাতেন না। তাই নাড্ডার মাথায় বসে থাকা মোদি ও শাহকে আড়ালে প্রিমিয়াম ও সুপার সভাপতি বলছেন অনেকেই। আগামী লোকসভা ভোটে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় গেরুয়া শিবিরের শীর্ষনেতৃত্ব।
৯৯ সালে এনডিএ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন অটলবিহারী বাজপেয়ী। পাঁচবছরে তাঁর মেয়াদকালে চারজন সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। এঁরা হলেন, কুশাভাউ ঠাকরে, বঙ্গারু লক্ষ্মণ, জনা কৃষ্ণমূর্তি ও বেঙ্কাইয়া নায়ডু। সকলেই একবার মেয়াদ শেষে দায়িত্ব ছেড়ে দেন। আর সেই পাঁচবছরে আটবার কর্মসমিতির বৈঠক হয়। প্রতি বৈঠকেই মঞ্চে আলো করে বসে থাকতেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তখনও প্রস্তাবিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক খসড়া দলিলের ওপর প্রতিনিধিদের আলোচনা শুনতেন বাজপেয়ী ও আডবানীরা।
আরো পড়ুন :- দেশে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি সর্বনিম্ন ! দ্রুত কমবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ?
দলে যে মোদি ও শাহই ছড়ি ঘোরাচ্ছেন জাতীয় কর্মসমিতি বৈঠকস্থল ঘুরলেই তা সহজেই বোঝা যায়। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সর্বভারতীয় সভাপতির প্রাসাদপোম অসংখ্য কাটআউট লাগান হলেও সেখানে ব্রাত্য দলের প্রবীণ নেতারা।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল
আরো পড়ুন :- পাকিস্তানে হামলা চালাল আফগান তালিবান, নিহত ৬, আহত ১৭
আরো পড়ুন :- ডিসেম্বর ছেড়ে এ বার জানুয়ারির-হুমকি শুভেন্দুর !