Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বাড়িতে রয়েছেন বয়স্ক অসুস্থ মানুষ, অথচ জরুরি কাজের জন্য বাইরেও বেরোতে হবে। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না। তা হলে কী করণীয়?
আর চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। সেছাত্রের ই সমস্যার সমাধানসূত্র বের করে ফেলেছেন অনুভব সরকার। রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনে সেন্টেনারি কলেজের পদার্থবিদ্যার ছাত্র তৈরি করেছেন অভিনব এক যন্ত্র, যা দিয়ে দূর থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে পরিবারের কোনও সদস্যের স্বাস্থ্য নজরদারির ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় প্রয়োজন হলে নিজের স্মার্ট ফোনের মাধ্যমেই জেনে নেওয়া যাবে বাড়িতে থাকা রোগীর স্বাস্থ্যের হালচাল। মোবাইল অ্যাপের ব্যবহারেই মিলবে খবর।
পুরো পরিকল্পনাটি অনুভব তাঁর দুই সহপাঠী অনমিত্র মুখোপাধ্যায় ও সুমন নন্দের সঙ্গে একটি মডেল প্রদর্শনের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। বুধবার বেলুড় বিদ্যামন্দিরে ছিল একদিনের বিজ্ঞানমেলা ও প্রদর্শনী। সেখানেই আরও অনেক ইঞ্জিনিয়ারিং ও সাধারণ কলেজের ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের ভাবনা অনুযায়ী নানা ধরনের মডেল তৈরি করে অংশ নিয়েছেন প্রদর্শনীতে।
সোনারপুরের ফিউচার ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের দুই ছাত্র অর্ণব খাটুয়া ও দীপ সনক তাঁদের মডেলে তুলে ধরেছেন থার্মোইলেকট্রিক ফ্যান। কী ভাবে তাপমাত্রার পার্থক্য এবং ভোল্টেজ বাড়িয়ে–কমিয়ে বিদ্যুৎ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই পাখা চালানো যায়, সেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন তাঁরা। হাওড়ার শ্যামপুরের সিদ্ধেশ্বরী মহাবিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার দুই ছাত্র রূপম বাগ ও শেখ সৈকত আলি কঠিন বর্জ্য ও সৌরশক্তিতে ব্যবহার করে কী ভাবে তীব্র আলোকদূষণ থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে ও মৃদু আলোর ফুটল্যাম্প জ্বালানো যেতে পারে, সেই বিষয়টি তুলে ধরেন তাঁদের মডেলের মাধ্যমে।
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজের দুই ছাত্র অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় ও বিনায়ক মণ্ডল তাঁদের মডেলে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের ভাবনায় এগ্রিকালচারাল মনিটরিং সিস্টেম তুলে ধরেছেন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে চাষের জমিতে কখন জল দরকার অথবা জমিতে অতিরিক্ত জল আছে কি না, জমিতে কী ধরনের সার প্রয়োজন, সেই বিষয়গুলি জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও কারিগরি মন্ত্রকের অধীন বায়ো টেকনোলজি বিভাগের স্টার কলেজ প্রকল্পের অধীনে এ দিনের বিজ্ঞানমেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, কম্পিউটার সায়েন্স ও সহজ বিজ্ঞানের মতো চারটি বিভাগের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এই প্রদর্শনী।
বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরের অধ্যক্ষ স্বামী মহাপ্রজ্ঞানানন্দ এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। তিনি বলেছেন, ‘বিদ্যামন্দিরে ছাত্রদের প্রদর্শনীর পরম্পরা ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে চার বছরের পাঠ্যক্রম ও সেমিস্টার ব্যবস্থায় আমরা কয়েক বছর প্রদর্শনী করতে পারিনি। নতুন আঙ্গিকে শুধু বিজ্ঞানমেলা হিসেবে এই প্রদর্শনী শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বার থেকে শুধু কলেজ নয়, স্কুলের ছাত্রদের নিয়েও প্রদর্শনীর ভাবনা রয়েছে আমাদের।’
আরও পড়ুন:– কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন আপনি ডায়াবিটিসে আক্রান্ত? রইলো বিস্তারিত
আরও পড়ুন:– Jio Coin বাজারে আনলো আম্বানি। থাকছে একাধিক সুবিধা। কিভাবে কাজ করবে এই কয়েন? জেনে নিন