Bangla News Dunia , Rajib : ভোটের প্রচারের প্রথম থেকেই ঝাড়খণ্ডের মতো খনিজ-প্রধান অঞ্চলে জনজাতিদের ‘অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে’ বলে সরব বিজেপি। ১৩ তারিখ প্রথম দফা ভোটের শেষ দিনের প্রচারে গিয়ে সেই অধিকার এবং অনুপ্রবেশের প্রশ্নেই সরব হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্পষ্ট জানালেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খণ্ডের জনজাতির মেয়েকে বিয়ে করে তাঁদের জমির অধিকার আর কেড়ে নিতে পারবেন না।
সরাইকেলায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ অভিযোগের সুরে বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা দেশের মহিলাদের বিয়ে করে জমি দখল করছেন। আর ঝাড়খণ্ডে এই সুযোগ তাঁদের করে দিচ্ছে জেএমএম-কংগ্রেস জোট সরকার। শাহের কথায়, ‘জনজাতি মহিলাদের বিয়ে করে তাঁদের জমির অধিকার যাতে অনুপ্রবেশকারীরা কেড়ে নিতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে আইন আনব আমরা। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে একটি কমিটিও গঠন করব। সেই কমিটি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে তাঁদের অধিগৃহীত জমি ফেরত নেবে।’ গত সপ্তাহে প্রায় একই কথা শোনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখেও।
ঝাড়খণ্ডে বিজেপির নির্বাচনী প্রচার মূলত অনুপ্রবেশ ইস্যুতেই আবর্তিত হয়েছে। সোমবার ঝাড়খণ্ডে চারটি সভা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম হিন্দুত্ববাদী মুখ যোগী আদিত্যনাথও। যোগীকেও বলতে শোনা যায়, ‘ঝাড়খণ্ড রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধর্মশালায় পরিণত হয়েছে। এই অনুপ্রবেশকারীরা নৈরাজ্য ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন।’
আরো পড়ুন :- বিয়ের জন্য ছুটি না পেয়ে Whatsapp ভিডিও কলেই শুভ পরিণয় সারল বর-কনে
আরো পড়ুন :- স্টেশনে ট্রেন ঢোকার আগে দিতে হয় ঘুষ! ভারতেই চলে এই আজব নিয়ম, ভাইরাল ভিডিও
পরিচিত স্লোগান আওড়ে হিন্দু এবং জনজাতিদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে, এক রহেঙ্গে তো সেফ রহেঙ্গে’, অর্থাৎ আমরা বিভক্ত হলে মুছে যাব, আর এক থাকলে নিরাপদ থাকব। খনিজ–সমৃদ্ধ ঝাড়খণ্ডে জেএমএম–কংগ্রেস জোট লুট, দুর্নীতি ও নৈরাজ্য চালাচ্ছে বলে দাবি যোগীর। রাজ্যের মাফিয়া, পাথরবাজ এবং নৈরাজ্যবাদীদের ‘সবক’ শেখাতে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দুর্নীতি প্রশ্নে সরব শাহ–ও। তাঁর দাবি, ঝাড়খণ্ডের জেএমএম–কংগ্রেস সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার চাকরি, জমি ও খনি দুর্নীতিতে জড়িয়ে আছে। সেখানে বিজেপি ক্ষমতায় এলে কেন্দ্রের তরফে আসা ১ টাকা অনুদানের সঙ্গে আরও ২৫ পয়সা জুড়ে ১.২৫ টাকা জনসাধারণের হাতে পৌঁছে দেবে।
বিজেপির এই জোরদার প্রচারকে নিশানা করে কংগ্রেসের জয়রাম রমেশের অবশ্য খোঁচা, ১০ বছর কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকার পরও বিজেপিকে ধর্মীয় মেরুকরণের ভিত্তিতে ভোট চাইতে হচ্ছে। রমেশের মতে, ঝাড়খণ্ডের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সামাজিক ন্যায়ের পক্ষেই ভোট দেবেন।