Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ‘লড়কে রোতে নেহি’ (‘Boys Don’t Cry’)— কথাটা শুনেছেন নিশ্চয়ই। ছোটবেলা থেকে শুনে শুনে অনেক পুরুষ হয়তো বাক্যটি বিশ্বাসও করে নিয়েছেন। ছেলে হয়ে প্রকাশ্যে চোখের জল ফেলা যাবে না। আবার ব্রেকআপের জন্য কষ্ট হলে? সেটাও কি লুকিয়ে রাখতে হবে? তার উপর ব্রেকআপ হলে নাকি মহিলাদের থেকে তুলনায় বেশি পুরুষেরাই কষ্ট পান? পড়ে মনে হতেই পারে যে, এ আবার হয় নাকি! কিন্তু সাম্প্রতিকতম গবেষণা এমনটাই।
‘বিহেভিওরাল অ্যান্ড ব্রেইন সায়েন্সেস’-এ প্রকাশিত গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, প্রেম ভাঙলে পুরুষেরাই সবচেয়ে বেশি কষ্ট পান। ছেলেদের মধ্যে ইমোশনাল ও সাইকোলজিক্যাল স্ট্রেস বেড়ে যায়। অথচ, আমাদের সমাজ মনে করে, প্রেম ভাঙলে মেয়েরাই কুঁকড়ে যায় কষ্টে। এই স্টিরিওটাইপ চিন্তাভাবনাকে পাল্টে দিয়েছে নতুন গবেষণা। সেখান থেকে জানা গিয়েছে, ছেলেরাও মহিলাদের মতোই রোম্যান্টিক রিলেশনশিপে একই ভাবে পার্টনারের উপর নির্ভরশীল থাকে। পার্টনারের কাছ থেকে তারাও ইমোশনাল সাপোর্ট চায় এবং ইন্টিমেসি তাদের কাছেও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন:– পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে দেশের একমাত্র নাম ছাড়া রেলস্টেশন, কোথায় রয়েছে সেই স্টেশন ?
সম্পর্ক ভাঙলে মন ভাঙে। বিশ্বাস করা হয়, মহিলাদের মনেই বেশি প্রভাব পড়ে ব্রেকআপের। কিন্তু বিষয় হলো, মহিলারা অনেক বেশি ‘এক্সট্রোভার্ট’। অর্থাৎ, মনের কথা বন্ধু, পরিবার বা কাছের মানুষের সঙ্গে শেয়ার করে। সুতরাং, ব্রেকআপ হলে সেই যন্ত্রণার কথা তারা কারও না কারও সঙ্গে ভাগ করে নেয়। কিন্তু ছেলেরা সেটা করতে পারে না। বেশিরভাগ পুরুষই ‘ইন্ট্রোভার্ট’ বা চাপা স্বভাবের হয়। সুতরাং, মন ভাঙলেও সে কষ্টের কথা কারও সঙ্গে শেয়ার করে না পুরুষেরা। তা ছাড়া পুরুষদের জীবনে দায়িত্ব বেশি এবং সাপোর্ট সিস্টেম খুবই অল্প। কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষ তাদের জীবনে তুলনামূলক ভাবে কম। চাইলেও কার সঙ্গে ভাগ করে নেবে মনের কথা?
ছেলেরা চটজলদি প্রেমে পড়ে। যাকে বলে ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’— এটাও ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশি ঘটে। আর রোম্যান্টিক ও ফিজ়িক্যাল রিলেশনশিপে থাকলে পুরুষদের জীবনে স্ট্রেস কম থাকে। তারা হাইপারটেনশনের সমস্যাতেও কম ভোগে। অন্যদিকে গবেষণা এটাও বলছে যে, সিঙ্গল পুরুষেরা সিঙ্গল মহিলাদের তুলনায় বেশি একাকিত্ব, ডিপ্রেশনে ভোগে। তা ছাড়া ৭০% ক্ষেত্রে মহিলারাই চায় ডিভোর্স। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চায় পুরুষেরাই।