Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- শিউরে ওঠার মতন ঘটনা কঙ্গোতে। শতাধিক মহিলা বন্দিকে ধর্ষণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে সেখানে। কঙ্গোর গোমা শহরে জেল ভেঙে অনেকের পালিয়ে যাওয়ার সময়ে এই ঘটনা ঘটেছে। এই ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি প্রতিবেদনেও।
গত সোমবার সেখানকার মুনজ়েজ-এর কারাগারে এই ঘটনা ঘটেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার সেখানে হামলা চালিয়েছিল রুয়ান্ডা-সমর্থিত M23 বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যরা। তারা আক্রমণ শুরু করলে ওই কারাগারের ভিতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সেই সময়েই পালিয়ে যান অনেক বন্দি। তারা সেখানে আগুনও লাগিয়ে দেয়। আগুন লাগানোর আগে অন্তত ১৬৫ জন মহিলা বন্দি তাদের যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
রাষ্ট্রপুঞ্জ তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, গোমার ওই হামলায় অন্তত ২৯০০ জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ২ হাজার জনের দেহ সমাহিত করা হয়েছে।
গোমায় রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা বাহিনীর উপ-প্রধান ভিভিয়ান ভান ডে পেরি (Vivian van de Perre) জানিয়েছেন, ওই হামলা এবং বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে পালিয়েছে প্রায় ৪ হাজার বন্দি। ওই কারাগারে আগুন লাগার পরে আটকে পড়েছিলেন শতাধিক মহিলা বন্দি। ওই ঘটনায় তাঁরা জীবন্ত পুড়ে মারা গিয়েছেন বলেও জানান তিনি। ওই মহিলাদের ধর্ষণ করার পরে কারাগারে তাঁদের থাকার জায়গায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন পেরি।
এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যৌন হিংসাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে গোমায় প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির। কারাগারে ওই হামলা এবং বন্দিদের জেল ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার একটি ফুটেজও সামনে এসেছে। তাতে দেখা দিয়েছে, মুহুর্মুহু গুলির মধ্যেই পিলপিল করে বেরিয়ে আসে তারা।
সেখানে সিজ় ফায়ার ঘোষণা করা হলেও বুধবার বুকুভুর নয়াবিবওয়ের দখল নিয়েছে এম-২৩-এর সদস্যরা। এর ফলে আরও অনেকের মৃত্যু হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পেরি। এর জেরে ওই এলাকায় মানবাধিকার নিয়ে সংকট আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:- লিভারের অসুখের ঝুঁকি কমাতে এই অভ্যাসগুলি থেকে দূরে থাকতে হবে
আরও পড়ুন:- বাংলা আবাস যোজনায় আরো ১ লক্ষ বাড়ি দিচ্ছে। আবাস যোজনা ঘরের লিস্ট ও ঘরের টাকা পেতে কি করবেন? জেনে নিন