Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে উন্নতির শীর্ষে পৌঁছেছে মানবসভ্যতা। কিন্তু প্রকৃতির কাছে এখনও মানুষ অসহায়। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কোনও না কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাণ্ডব চালায়। তার জেরে তছনছ হয় সেই সব এলাকা। এর জেরে প্রাণহানি যেমন হয়, তেমনই বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতিও হয়। ২০২৪ সালেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কত লোকের প্রাণ কেড়েছে এবং কত আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তার হিসাব প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে সবথেকে ভয়াবহ ১০টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রাণ কেড়েছে ২ হাজার মানুষের। এই সমস্ত বিপর্যয়ের জেরে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ২৮৮ বিলিয়ন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় ২৪ লক্ষ ৬২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা।
‘কন্টিনিউয়িং দ্য কস্ট ২০২৪: আ ইয়ার অফ ক্লাইমেট ব্রেকডাউন’ শীর্ষক রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে সম্মিলিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ভয়াবহ ১০টি প্রাকৃতিক দুর্যোগের চারটি হয়েছে উত্তর আমেরিকায় এবং তিনটি হয়েছে ইউরোপে। বাকি তিনটি চিন, ব্রাজ়িল এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে। এ ছাড়াও প্রচুর প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়েছে এ বছরে।
আরো পড়ুন:– আর নয় ওষুধ, চিকিৎসাবিজ্ঞানে এবার তাবিজেই হবে গর্ভনিরোধক ! ব্যাপারটা কি, জানুন
এই সব বিপর্যয়ের মধ্যে ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি হ্যারিকেন মিল্টনের হানায়। অক্টোবর মাসে মার্কিন মুলুকের এই ঝড়ে ক্ষতি সবথেকে বেশি। এর পাশাপাশি আমেরিকা, কিউবা এবং মেক্সিকোয় সেপ্টেম্বর মাসে আঘাত হানা হ্যারিকেন হেলেন রয়েছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঘাত হানা টাইফুন ইয়াগি সেপ্টেম্বর মাসে প্রাণ কেড়েছে ৮০০ জনের। এর জেরে ফিলিপিন্স, লাওস, মায়ানমার, ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা এবং ভূমিধসের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এর জেরে কৃষিকাজেও বড় ক্ষতি হয়েছে। বন্যার জেরে বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে চিনকে। ৩১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ওই প্রাকৃতিক দুর্যোগে। বরিস ঝড়ের জেরে মধ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। যার জেরেও বড় অঙ্কের ক্ষতি হয়েছে। একই পরিস্থিত তৈরি হয়েছিল ব্রাজ়িলেও।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে রিপোর্টে যে পরিমাণ ক্ষতির কথা উল্লেখিত হয়েছে, বাস্তবে ক্ষতি হয়েছে তার থেকে কয়েক গুণ বেশি। কারণ ইনশিওরড লস ধরে এখানে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হয়েছে। এর বাইরেও অনেক ক্ষতি হয়েছে, যা রিপোর্টে উল্লেখ হয়নি। সে জন্যই এ বছর জুলাই মাসে কেরলের ওয়েনাড়ে হওয়া ভূমিধসের ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি অন্তর্ভুক্ত হয়নি এই রিপোর্টে। ওই ঘটনায় ২০০ জনের বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছিল। রিপোর্টের বিষয়ে এক এনজিও-র তরফে বলা হয়েছে, ‘কেবল মাত্র ইনশিওরড লসের ভিত্তিতে এই ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হয়েছে। অর্থাৎ বাস্তবে ক্ষতির পরিমাণ এর থেকে অনেকটাই বেশি। অনেক ক্ষেত্রে তো মানুষের মৃত্যু হিসাব ঠিক মতো গণনা করা হয় না বা তথ্য পাওয়া যায় না। সে সব যোগ হলে এই ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যাবে।’
আরো পড়ুন:– 1 লা জানুয়ারি থেকে বদলাবে গুরুত্বপূর্ণ সকল নিয়ম। সতর্ক হন সবার আগে
আরো পড়ুন:– ATM কার্ড হারিয়ে গিয়েছে? ঘরে বসেই ব্লক করতে পারবেন, কিভাবে ? জেনে নিন