ভারতকে নেশায় ডুবিয়ে দিতে চেয়েছিল, সেই ৮ পাকিস্তানির ২০ বছরের জেল

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ২০১৫ সালে গুজরাট উপকূলে একটি মাছ ধরার নৌকায় ২৩২ কেজি হেরোইন নিয়ে ধরা পড়েছিল আট পাকিস্তানি নাগরিক। বুধবার (১ জানুয়ারি) মুম্বইয়ের এক বিশেষ আদালত তাদের ২০ বছরের কারাদণ্ড দিল। তবে ইতিমধ্যেই তারা প্রায় এক দশক ধরে কারাগারে রয়েছে। এই ১০ বছরকে তাদের দণ্ডের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তবে, তাদের এখন আরও দশ বছর কারাগারে কাটাতে হবে।

বিশেষ বিচারক এস ই বাঙ্গার বলেছেন, ওই ব্যক্তিরা নিজেদের মৎস্যজীবী বলে দাবি করেছে। কিন্তু তাদের নৌকোয় কেন বিপুল পরিমাণ হেরোইনের প্যাকেট ছিল, তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, তাদের সঙ্গে তিনটি স্যাটেলাইট ফোনও ছিল। ভারত বা পাকিস্তানের অসামরিক নাগরিকদের এই ফোন ব্যবহার করার অনুমতি নেই। সেগুলি তাদের কী কাজে লাগত, তারও কোনও সদুত্তর তারা দিতে পারেনি। এর পরই ‘নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস’ আইনের অধীনে অভিযুক্ত পাক নাগরিকদের দোষী সাব্যস্ত করেন তিনি।

২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল ভোর ৩টে বেজে ১০ মিনিট নাগাদ গুজরাটের ন্যাশনাল মেরিটাইম বর্ডারে টহল দেওয়ার সময়ে, উপকূল রক্ষী বাহিনীর রাডারে একটি পতাকাবিহীন নৌকার ধরা পড়েছিল। সেই নৌকোটিকে আটক করেছিল উপকূল রক্ষী বাহিনী।

আরও পড়ুন:–  কলকাতায় উদ্ধার ক্যান্সার-সহ বিভিন্ন রোগের ‘ভেজাল ওষুধ’, ধৃত ১, শোরগোল

নৌকোটির কোনও নাম বা নম্বর ছিল না। তবে, আটজন ক্রু সদস্য ছিল। প্রত্যেকেই পাকিস্তানি নাগরিক। তারা দাবি করেছিল, তারা মৎস্যজীবী। মাছ ধরার সময় তাদের নৌকোর ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তারা ভাসতে ভাসতে ভারতীয় উপকূলের কাছে চলে এসেছে।

উপকূল রক্ষী বাহিনীর কর্তারা এর পর নৌকোটিতে তল্লাশি চালান। কিন্তু, কোনও মাছের দেখা পাওয়া যায়নি। পরিবর্তে, ১১টি প্যাকেট ভর্তি নীল রঙের ড্রাম পাওয়া গিয়েছিল। পোরবন্দরে উপকূলে পৌঁছে প্যাকেট খুলে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছিল তাতে হেরোইন রয়েছে।

সব মিলিয়ে ২৩২টি প্যাকেট ছিল। প্রতিটির ওজন ছিল এক কেজি করে। তাদের কাছ থেকে তিনটি স্যাটেলাইট ফোন, দুটি জিপিএস নেভিগেশন চার্ট, মোবাইল ফোন এবং একটি ইনভার্টারও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। জিপিএস নেভিগেশন চার্টে দেখা গিয়েছিল, তারা ভারতেই আসছিল।

মুম্বইয়ের ইয়েলো গেট থানার পুলিশ এনডিপিএস আইনের অধীনে এফআইআর দায়ের করেছিল। তাদের রাখা হয় মুম্বইয়ের এক কারাগারে। বিচারের সময় অভিযুক্ত পাক নাগরিকরা দাবি করে, তাদের আন্তর্জাতিক জলসীমায় আটক করা হয়েছিল। তাই, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার এক্রিয়ার মুম্বই পুলিশের নেই। আদালত অবশ্য তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছিল, আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই মুম্বই পুলিশ এই মামলার তদন্তের ভার পেয়েছে।

আরও পড়ুন:– 147টি ট্রেনের টাইম টেবিলে বদল আনছে পূর্ব রেল ! দেখে নিন নয়া টাইম টেবিল

আরও পড়ুন: R.G কর মেডিকেল কলেজে নতুন করে কর্মী নিয়োগ চলছে! সরাসরি ইন্টারভিউর মাধ্যমে চাকরি – দেখেনিন বিস্তারিত

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন